লেখক: রাজিব আহমেদ.
সভাপতি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)
২১-২৫ বয়সের অনেকের সঙ্গে ফেইসবুকে কথা হয়। আসলে ই-ক্যাব এবং সার্চ ইংলিশ দুই গ্রপের অন্তত ৮০% সদস্য মনে হয় এই বয়সের। আমার এই প্রফাইলের ফ্রেন্ড লিস্ট ও ফলোয়ারদেরও ৮০% তাই হবে। যাই হোক, বেশির ভাগের মনে লেখাপড়া এবং ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক হতাশা। এর যুক্তি সংগত কারণ আছে কারণ বাংলাদেশে শিক্ষিত মানুষের বেকারত্বের হার কম নয়। তাছাড়া মাস্টার্স পাশ করে খুব ছোট কাজ করছেন এমন লোকের সংখ্যাও অনেক।
যারা আমার সঙ্গে কথা বলেন তাদের শুধু একটি কথাই বলি লেখাপড়ার ডিগ্রি বা সার্টিফিকেটের মতই গুরুত্বপুর্ন যে কোন দিকে স্কিল্ড বা দক্ষ হওয়া। আরও দরকার দিনের পর দিন সাধনা করে সেই দক্ষতাকে শক্তিতে পরিণত করা।
আরেকটি ব্যপার হল ২৫ বছর বয়সে হতাশ হওয়া উচিৎ নয় অন্তত ক্যারিয়ার নিয়ে। ৪০ বছর বয়সে এসে যদি দেখেন তেমন কিছু করতে পারেন নি তাহলে একটু হতাশ হতে পারেন। ৪৫ বছর বয়সেও মানুষের শরীরের শক্তি থাকে। এক দুই বছর চেষ্টা করে অনেক কিছুই করা সম্ভব, জীবন বদলে যেতে পারে। হয়তো এই সময়ে এসে ব্যবসাতে হটাত সাফল্য আসে কিংবা চাকুরি বদলে। হয়, অনেকেরই হয়।
যেসব কথা বলছি এগুলো আসলে বইয়ের কথা নয়, নিজের জীবনে দেখা।