ওই যে দেখছেন দশ তলা বিল্ডিংয়ের ওপর একটা মানুষ দাড়িয়ে আছে সুইসাইড করার জন্য, ওকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুণ ” দেখবেন তারও বেচেঁ থাকার ইচ্ছে আছে।
‘একটু আগে হাত কেটে রক্তে একাকার করে রাখা মনুষটাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুণ” দেখবেন তার কাছেও ব্যথার তিব্রতা ঠিকই অনুভব হচ্ছে।
‘রুমের দরজা মেরে যেই মানুষটা এক পাঁতা স্লিপিং পিল হাতে শক্ত হয়ে বসে আছে তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুণ” দেখবেন এতোগুলো স্লিপিং পিল সেই মানুষটাও খেতে চায় না।
‘নেশার আসরে পাড়ার যেই ছেলেটাকে সবচেয়ে বেশী দেখা যায়, তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুণ” দেখবেন নেশাটা অন্য সবার মত তার চোখেও খারাপ।
‘নিষিদ্ধ পল্লীতে দিনের পর দিন যেই মেয়ে গুলো শরীর বিলাচ্ছে, তাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করুণ”দেখবেন তারাও স্বপ্ন দেখে একটা সুখী সংসারের।
‘তবু এক জীবনে মানুষের এতোগুলো চাওয়া পাওয়ার হিসেব কখনোই মিলে না।
একটা মানুষ চাইলেই তার স্বপ্নটা বস্তবে রুপ দিতে পারেনা, চোখের সামনে মৃত্যু দেখেও সে পালাতে পারেনা, পারেনা তার হৃদপিন্ড জ্বালিয়ে দেয়া ব্যাথাটা অন্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে, পারেনা তার ইচ্ছে নামের অদ্ভুত অনুভূতিটাকে একটু আস্কারা দিতে।
তারপরও মানুষ বাচেঁ, বাঁচতে হয়, এতোগুলো না এর মাঝেই বাচতে হয়।
বাস্তবতা নামের কঠিন শিকলে আটকা পড়া প্রতিটা মানুষকেই শিকলের মাঝে মুক্তি খুঁজতে হয়।
জীবনের গল্প গুলো যে বাস্তবতার মোড়কে বাধা, তাই ছিন্ন করা কার সাধ্য?