সংসদ সদস্য নন তিনি। তবুও নিজ গাড়িতে সংসদ সদস্যের স্টিকার ব্যবহার করে চলাফেরা করেন। এমন অভিযোগে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, হুন্ডি ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মেদ ওরফে কার্লোসের ব্যক্তিগত বিলাসবহুল গাড়িটি জব্দ করেছেন র্যাব-৩ এর সদস্যরা।
রোববার বিকেলে রাজধানী পরীবাগের ৩/৩/এ দিগন্ত অ্যাপার্টমেন্টের গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক মেজর রাহাত হারুন খান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিকৃত যৌনাচার ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার রয়েছেন হুন্ডি ব্যবসায়ী সালেহ আহম্মেদ ওরফে কার্লোস। সম্প্রতি রাজধানীর পরীবাগে নিজ ফ্ল্যাটে গৃহপরিচারিকাকে বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করা ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ইয়াবা ও মদ্যপানে আসক্ত সালেহ আহম্মেদ সংসদ সদস্য না হয়েও নিজ গাড়িতে সংসদ সদস্যদের মনোগ্রাম ব্যবহার করে সুবিধা নিতেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে তার বিলাসবহুল গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর মা জানান, ১৬ জুন বাড্ডা এলাকার নাজমা নামের এক নারীর মাধ্যমে পরীবাগের দিগন্ত টাওয়ারের সাত তলায় গৃহপরিচারিকার কাজ শুরু করে তার মেয়ে। গত ৩০ জুন রাতে ওই বাসার এক নিরাপত্তাকর্মী ফোন দিয়ে জানায়, পরীবাগে ৩/৩/এ দিগন্ত অ্যাপার্টমেন্টের সাত তলা থেকে তার মেয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। খবর পেয়ে মেডিকেলে ছুটে যান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুন রাতে ওই গৃহপরিচারিকাকে সাত তলা থেকে নিচে পড়তে দেখেন অ্যাপার্টমেন্টের কাজের লোক জাহাঙ্গীর। তাৎক্ষণিক বিষয়টি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীদের জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে সালেহ আহমেদের বাসা তল্লাশি করতে গিয়ে পুলিশ তার কথিত স্ত্রী এবং বাসার আরেক কাজের বুয়া বৃদ্ধা মনোয়ারাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হোসেন এ প্রসঙ্গে জানান, পরীবাগের দিগন্ত টাওয়ারের সাত তলার বেলকুনি থেকে মেয়েটিকে ফেলে দেয়া হয়। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। গৃহকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
একই সময় মদ্যপ সালেহ আহমেদ তার কথিত স্ত্রীকে মারধর করে জখম করেন। মামলা ও পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।