রবিবার , ২ জুলাই ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

পুলিশের মন গলাতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন।।

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
জুলাই ২, ২০১৭ ২:৪০ পূর্বাহ্ণ

মহাসড়কে ওঠার অপরাধে অটোরিকশার ব্যাটারি খুলে নেয় ট্রাফিক পুলিশ। অটোচালকের অনুরোধে মন গলেনি ওই পুলিশের। ব্যাটারিও ফেরত পাননি চালক। তাই নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন অটোচালক।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

শামীম সিকদার (৩৫) নামের ওই অটোচালকের মাথা, মুখমণ্ডল ও দু’হাতসহ শরীরের প্রায় ২৫ ভাগ পুড়ে যায়। দগ্ধ শামীমকে পুলিশ উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত অটোচালক জানান, ইতোপূর্বে আরো দু’বার তার অটোরিকশার ব্যাটারি খুলে নিয়েছিল পুলিশ। ৪ হাজার করে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ব্যাটারি ছাড়িয়ে নেয় ট্রাফিক পুলিশের কাছ থেকে। কিন্তু এবার টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই তার।

অটোচালক শামীম সিকদার বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানাধীন ভাইজোড়া গ্রামের মৃত শাহজাহান সিকদারের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মান্নান ভূঁইয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। দগ্ধ শামীম তার স্ত্রী কাজল ও ৪ মেয়ে সন্তানকে নিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোচালকের ব্যাটারি খুলে নেয় ট্রাফিক পুলিশ মনির। এসময় সার্জেন্ট আমিনুর ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর কাছে দাঁড়ানো ছিল।

একপর্যায়ে অটোচালক কাকুতি মিনতি করলে ট্রাফিক কনস্টেবল মনির তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তাকে সজোরে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং অটো’র হর্ন পিটিয়ে ভেঙে ফেলে।

অটোচালক মাটি থেকে উঠে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে এক বোতল কেরোসিন তেল কিনে ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল মনিরের কাছে গিয়ে বলেন, ব্যাটারি না দিলে তিনি শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করবেন।

কিন্তু এতে ট্রাফিক পুলিশের মন গলেনি। উল্টো অটোচালক শামীমকে তার শরীরে আগুন লাগাতে বলে। তাকে ব্যাটারি দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়।

একপর্যায়ে অটোচালক শামীম তার গামছায় কেরোসিন দিয়ে ভিজিয়ে এবং মাথায় কেরোসিন ঢেলে ম্যাচ দিয়ে প্রকাশ্যে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে তার মাথা ও শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।

এসময় পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে পানি ঢেলে আগুন নেভাতে সহায়তা করেন।

এতে অটোচালকের মাথা, মুখমণ্ডল, হাত ও শরীরের ২৫ ভাগ পুড়ে যায়।

জানতে চাইলে ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুন পাল বলেন, আগুনে শামীমের মাথা, মুখমণ্ডল, দু’হাতসহ শরীরের ২৫ ভাগ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও ক্লিনিকে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর পরিদর্শন করেছেন।

জানতে চাইলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর জানান, ঘটনার মুহূর্তে তিনি হোটেলে নাস্তা করছিলেন। তিনি এসে আগুনে দগ্ধ অটোচালককে দ্রুত ক্লিনিকে নিয়ে যান।

(Visited ৪ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত