ডিসেম্বরে যদি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল হয় তাহলে সেটাই হবে ভুটান-লজ্জার পর জাতীয় দলের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। না হলে অপেক্ষা করতে হবে আরো মাস ছয়েক। আগামী বছর মে মাসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে থাকছে না লাল-সবুজ জার্সিধারীদের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তার আগে দু’একটা ফিফা ফ্রেন্ডলি খেললে সেটা ভিন্ন কথা।
এর বাইরে বাংলাদেশের ফুটবলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ কয়েকটি বয়সভিত্তিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। যার প্রথমটি এ মাসেই। আগামী ১৯ থেকে ২৩ জুলাই ফিলিস্তিনে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। আছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ও ১৬ এবং সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ। বাফুফে এখন তাকিয়ে এই বয়সভিত্তিক দলগুলোর দিকেই। এখান থেকেই তৈরি হবে আগামীর জাতীয় দল।
শনিবার বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনও বলেছেন নতুনদের নিয়ে জাতীয় দল গঠনের পরিকল্পনার কথা। বাফুফে ভবনে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, বুড়োদের পেছনে আর হাঁটবেন না। আর ভরসা করবেন না এতদিন জাতীয় দলে খেলা ফুটবলারদের উপর। তিনি একটি নতুন জাতীয় দল গঠন করে ঘুড়ে দাঁড় করাতে চান দেশের ফুটবলকে। বিলম্বে হলেও দেশের ফুটবলের শীর্ষ ব্যক্তি বুঝতে পেরেছেন জাতীয় দলের ভালো ফল পেতে দরকার এক ঝাঁক টগবগে রক্তের ফুটবলার। এক কথায় ফ্রেশ ব্লাড।
সাফল্য পেতে দরকার নতুন পরিকল্পনা। হাঁটতে হবে নতুন পথে। কাজী মো. সালাউদ্দিন সে পথে হাঁটার ঘোষণাই দিয়েছেন। এ জন্য নতুন ছকও তৈরি করেছেন তিনি। পরিকল্পনা করেছেন আগামী তিন বছর বয়স ভিত্তিক ফুটবল প্রশিক্ষণ আয়োজনের।
অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল দলের প্রশিক্ষণের মহাপরিকল্পনা হাতে নিতে যাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি। এই গ্রুপের ফুটবলারদের তিনি টানা ৩ বছর প্রশিক্ষণ দেবেন। এখান থেকেই তৈরির পরিকল্পনা আগামী দিনের জাতীয় দল।
কয়েক বছর ধরে যারা জাতীয় দলে খেলেছেন তাদের উপর আর আস্থা নেই কাজী সালাউদ্দিনের ‘জাতীয় দল গঠনে আমার চাই ফ্রেশ ব্লাড। হাতে সময় নিয়ে একটা সম্পুর্ন নতুন জাতীয় দল গড়তে চাই। যারা ভালো খেলবে তাদের নিয়েই হবে আগামীর দল। তাহলে তাকে নিতে আপত্তি নেই। এখন প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল গঠন করা হচ্ছে। এই দলটাই মূলতঃ জাতীয় দলে পরিণত হবে। যারা পারবে তারা থাকবে, যারা পারবে না তারা বিদায় নেবে।’