রীতিমত বোমা ফাটিয়ে দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথওয়ালে। এতবড় কথাও এর আগে আর কেউ বলার সাহস পায়নি, সেটাই বললেন কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এই মন্ত্রী। তিনি দাবি করলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ফিক্সিং করেছেন দুইজন ক্রিকেটার।
শুধু ফিক্সিংয়ের অভিযোগ করলেও কথা ছিল। রীতিমত দু’জনের নামও বলে দিয়েছেন। তারা হলেন বিরাট কোহলি এবং যুবরাজ সিং। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘ইচ্ছা করেই ফাইনালে নিজেদের সেরাটা খেলেননি কোহলি এবং যুবরাজ।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে যে পাকিস্তানকে নিজেদের সামনে দাঁড়াতেই দেয়নি বিরাট কোহলিরা, সেই পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে ভরাডুবি মেনে নিতে পারছেন ভারতীয়রা। সাধারণ মানুষের মত মন্ত্রীও মেনে নিতে পারছেন না ভারতের হার।
অভিযোগ করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে দলিতদের হয়ে গলা ফাটিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতীয় দলে যারা পারফর্ম করতে পারবে না, তাদের বিশ্রাম নেওয়াই উচিত। তাদের বদলে দলিত ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হোক।’
তার কথা এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হঠাৎই সুর আরও চড়িয়ে দিলেন। আঙুল তুলেছেন ভারতের দুই তারকা ক্রিকেটারের দিকে। একজন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অন্যজন যুবরাজ সিং। রামদাস আথওয়ালে বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব প্রান্তে সেঞ্চুরি করে বেড়ান বিরাট কোহলি। যুবরাজ এবং ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানরাও যথেষ্ট ভাল; কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সবাই ব্যর্থ হলো। আমার মনে হয় ওরা হারার মানসিকতা নিয়েই খেলতে নেমেছিল।’
কোনও ক্রিকেটারের নাম না নিলেও এক ব্যাপার ছিল; কিন্তু রামদাস সরাসরি হারের জন্য কোহলি ও যুবরাজের নাম উচ্চারণ করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন অভিযোগ কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে ভূমিকম্প ঘটানোরই ইঙ্গিত দিয়ে গেলো। আপাতত রামদাস আথওয়ালের অভিযোগ নিয়ে এখন পুরো ভারতীয় মিডিয়ায় তোলপাড়। সবাই গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করছে মন্ত্রীর অভিযোগের বিষয়টি।