রেশাম খান নামে এক উঠতি মডেল ও তার কাজিন জামিল মুক্তারকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে খুঁজছে লন্ডন পুলিশ। এজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ২৪ বছর বয়সি জন টমলিন নামের একজনের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির দুই গালে ট্যাটু আঁকানো রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অতি দ্রুত পুলিশের সঙ্গে তাকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এসিড দগ্ধ রেশাম খান তার বোনকে নিয়ে ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেদিন জন্মদিন পালন করছিলেন তারা। সেই সময়ে তাদের ওপর এসিড হামলা হয়।
পূর্ব লন্ডনের এই ঘটনায় রেশামের শরীরের ওপরের অংশের অনেকটাই পুড়ে গেছে। তার কাজিন জামিলের সঙ্গে গত দুই বছর পর তার দেখা হয়। জন্মদিন উপলক্ষে দেখা করেন দুজন। ৩৭ বছরের জামিল ভাবতেও পারেননি তার সামনেই বোনকে এমন ঘটনার শিকার হতে হবে।
জামিল বলছেন, মুখে এসিড নিয়ে রাস্তায় সাহায্য চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে প্রায় ৪৫ মিনিট। তারপরেও অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। পরে তাদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন এক পথযাত্রী।
স্পেশাল বার্ন ইউনিটে রেশামকে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। বিজনেস ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থী রেশামের এবার পাস করার কথা ছিল। ভাবছিলেন পাস করে তিনি কাজে যোগ দেবেন। তবে এসিড হামলার পর পুরো দুনিয়াটাই এলোমেলো হয়ে গেছে।
রেশামের বাম চোখ, মুখ পুড়ে গেছে। ত্বকের চিকিৎসা করালে তবেই সেই দগদগে ঘা ঢাকা সম্ভব। বন্ধুর বিপদে সহপাঠীরা এগিয়ে এসে তহবিল সংগ্রহ করছেন।
তবে অর্থ দিয়ে কতটুকুই বা সাহায্য করা যায়। যেভাবে লন্ডনের রাস্তায় এসিড হামলার শিকার হতে হল, তা একজন নারীরর জীবন তছনছ করার পক্ষে যথেষ্ট। এখন দেখার বিষয় রেশাম ও জামিল কীভাবে নিজেদের সামলে নিতে পারেন। আর হামলাকারীর বিচার কী হয়, সেটাও দেখা যাবে।