আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য রমজানের রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিনকে আনন্দ করার জন্য উপহার স্বরূপ ‘ঈদ-উল-ফিতর’ দান করেছেন। শুধু তাই নয়, এ দিনে কোনো প্রকার রোজা রাখাকে গোটা মানব জাতীর জন্য হারাম ঘোষণা করেছেন।
রমজানের ঈদ পালনের পর নেককার বান্দাগণ বছর জুড়ে রোজার সাওয়াব লাভে শাওয়ালের ৬ রোজা পালন করে থাকেন। যার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও প্রয়োজনীয়তা। যা তুলে ধরা হলো-
>> শাওয়ালের ৬ রোজা গুরুত্বকে এভাবে তুলনা করা হয়েছে যে, এ রোজা ফরজ নামাজের পর সুন্নাতে মুআক্কাদার মতো। যা ফরজ নামাজের উপকারিতা ও তার অসম্পূর্ণতাকে পরিপূর্ণ করে। অনুরূপভাবে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা, রমজানের ফরজ রোজার অসম্পূর্ণতাকে সম্পূর্ণ করে এবং তাতে কোনো ত্রুটি ঘটে থাকলে তা দূর করে থাকে। সে অসম্পূর্ণতা ও ত্রুটি কথা রোজাদারের জানা থাকুক আর নাই থাকুক।
>> আবার রমজানের ফরজ রোজা পালনের পরপর, পুনরায় রোজা রাখার মানেই হল- রমজানের রোজা কবুল হওয়ার একটি লক্ষণ। যেহেতু মহান আল্লাহ তাআলা যখন কোনো বান্দার নেক আমল কবুল করেন, তখন তার পরেই তাকে আরও নেক আমল করার তাওফিক দান করে থাকেন। যেমন ওলামায়ে কেরামগণ বলে থাকেন, ‘নেক কাজের সাওয়াব হল, তার পরে পুনরায় নেক কাজ করা। (আহকামিস সিয়াম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান পরবর্তী সাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। এ রোজা পালনের মাধ্যমে ঘোষিত ফজিলত অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।