প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ায় মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ায় আমি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, প্রত্যেকে সচেতন হওয়ায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপনে তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানোর কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
তিনি আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী এবং পেশাজীবীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের সকল অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, এক মাস রোজা শেষে ঈদ প্রতিটি পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে এনেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সামাজিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা আনন্দমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা, চার জাতীয় নেতা, স্বাধীনতা যুদ্ধ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মা-বোনদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বিপুল আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের এখন দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। বাংলাদেশের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এই মর্যাদা হারিয়েছিল।
বাংলাদেশ এখন আবার জেগে উঠেছে। হারানো মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন হিসাবে একটি সমৃদ্ধশালী ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে লিঙ্গ, বয়স ও ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জনগণের খাদ্য, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, গৃহায়ণ ও একটি সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী করতে সারাদেশে একশ’টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি প্রস্তাবিত বাজেট আগামী অর্থবছরে জনগণের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জনসাধারণের জন্য গণভবনের গেট খুলে দেয়া হয়। ঈদের নামাজ শেষে সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। গণভবনের বিশাল লোনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ছিল সুসজ্জিত।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রিসভার সদস্যবর্গ ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী ও বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ভিক্ষুক ও ছিন্নমূলসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে পৃথক কর্মসূচিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন বন্ধু প্রতীম দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।