বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই দলনিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। এ সময় সেনা মোতায়েন রাখতে হবে। সরকারের দুঃশাসন, নিপীড়ন ও ব্যর্থতার জন্য দেশের মানুষ এবার আনন্দ নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোমবার দুপুরে সর্বস্তরের নাগরিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সাধারণত বিপুল উৎসবের মধ্য দিয়ে সব সময় ঈদ উদ্যাপিত হয়। কিন্তু এবার দেশে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বৃদ্ধির কারণে কারও মনে কোনো আনন্দ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশ এবার ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে এ সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশ এবং সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। তারা ভালো সেবা ও সুশাসন চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সবদিক থেকেই ব্যর্থ। ভবিষ্যতে এ সরকার মানুষের জন্য ভালো কিছু দিতে পারবে না। দেশে এখন দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে হাওর ও পাহাড়ি এলাকায় খাবার এবং সরকারি সহায়তার জন্য মানুষ হাহাকার করছে।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা দিন দিন ধনী হচ্ছে আর সাধারণ মানুষ দরিদ্র হচ্ছে। দিন দিন মানুষের মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে। আমি পত্রপত্রিকার খবরে পড়েছি, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ করেছেন এরা দেশের বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করছে। আর সাধারণ মানুষ ঈদে নতুন জামাকাপড় কিনতে পারছে না। দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। পাহাড়ধসের পর রাঙামাটিতে যাওয়ার পথে বিএনপির মহাসচিবের গাড়িতে হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের নেতাদের ওপর এমন হামলার পর আপনারা কী প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোনো ভালো নির্বাচন হতে পারে?’