কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারো লাখো মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় জামাত শুরু হয়। এতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।
শোলাকিয়া ঈদগাহে এবার ১৯০তম ঈদ জামাত। রেওয়াজ অনুযায়ী নামাজ শুরুর পাঁচ মিনিট আগে তিনটি, তিন মিনিট আগে দুটি ও এক মিনিট আগে একটি বন্দুকের গুলি ছুড়ে সমবেত মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতির জন্য সংকেত দেওয়া হয়।
সকাল থেকেই ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসতে থাকেন।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত নির্বিঘ্ন করতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), জেলা পুলিশসহ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
ঈদের দিন মাঠের ভেতর ও বাইরে এক হাজারের বেশি সিসি ক্যামেরা, আটটি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে আগতদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। মাঠ ও আশপাশের এলাকায় আট প্লাটুন বিজিবি ও ২০ প্লাটুন এপিবিএন মোতায়েন করা হয়েছে।
পুরো মাঠ ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে বলে জানান কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান। রবিবার (২৫ জুন) সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন নামাজ শুরুর আগ মুহূর্তে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অদূরে আজিমউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে পুলিশের তল্লাশির সময় জঙ্গি হামলা হয়। এতে দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজন নিহত হন। আহত হন ১২ পুলিশ সদস্য। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলে এক জঙ্গি নিহত হন। আটক করা হয় দুজনকে। এ জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের পরিবার এক বছরেও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ঝর্ণা রানীর স্বামী গৌরাঙ্গনাথ ভৌমিক এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন।