চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকা বিদায় নিয়েছে গ্রুপপর্ব থেকেই। সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে অধিনায়ক হিসেবে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে একটু বেশিই শুনতে হয়েছে সমালোচনা। এরপর ফাফ ডু প্লেসিসের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দেন ভিলিয়ার্স।
তার অধীনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গেছে ২-১ ব্যবধানে। এবি ডি ভিলিয়ার্সের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। এটা বলা বাহুল্য। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন!
তবে এখনই জাতীয় দলের জার্সি খুলে রাখার কথা ভাবছেন না ভিলিয়ার্স। তবে সব ফরম্যাটে নাও খেলতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে এই ব্যাটসম্যান। বোর্ডের সঙ্গে বসে বাংলাদেশ সিরিজের আগেই সিদ্ধান্ত নেবেন ভিলিয়ার্স।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এবির ভাষ্য, ‘পরিবারের সঙ্গে কিছু সময় কাটাব। নতুন সন্তানকে স্বাগত জানাব। নিজেকে অবশ্যই ফিট রাখতে চাই। সেপ্টেম্বরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে, কেননা ওই সময় বাংলাদেশ খেলতে আসবে। আমাকে এমন সিদ্ধান্তই নিতে হবে, যা দুই পক্ষের জন্য মঙ্গল হয়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কী হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের লক্ষ্যের কথা জানালেন ভিলিয়ার্স। তবে এও জানালেন যে, বোর্ড চাইলেই কিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। সুযোগ পেলে চেষ্টা করবেন দলকে শিরোপা এনে দেয়ার। প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একটি বিশ্বকাপ জেতা আমার স্বপ্ন। তাই যেকোনোভাবেই হোক, বিশ্বকাপ দলের অংশ হয়ে থাকতে চাই। কিন্তু এসব তো আর আমার হাতে নেই। সিএসএর সঙ্গেও আলোচনা করব, দলের কোথায় আমি যুতসই হব।’
প্রসঙ্গত, এ বছরের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সেখানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলবেন টাইগাররা। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হবে ময়দানি লড়াই।