দেশের বৃহৎ বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গগামী ও ঢাকাগামী প্রায় ২৭ হাজার পরিবহন সেতুটি পারাপার হয়েছে। আর এতে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুটি চালু হওয়ার পর এর আগে এতো পরিমাণ টোল আদায় হয়নি। বর্তমানে সেতুর টোল আদায় করছে বিতর্কিত কোম্পানি কমিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক (সিএনএস)।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহার করে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২৬টি জেলায় পরিবহন চলাচল করে। সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই সেতুর নিয়মিত টোল আদায় করা হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এতে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গে গত ২৩ তারিখ (শুক্রবার) সকাল ৬টা থেকে ২৪ তারিখ (শনিবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭৭০ বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন পারাপার হয়েছে।
এছাড়া ঢাকাগামী ৯ হাজার ৯৬২টি পরিবহন সেতু পাড় হয়েছে। ফলে ২৪ ঘণ্টায় ২৬ হাজার ৬৭২টি বিভিন্ন ধরনের পরিবহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে পরিবহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল আদায়ে নিয়োজিত কোম্পানি কমিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক (সিএনএস) এর ম্যানেজার আমিনুর রহমান জানান, গত শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ টোল আদায় করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ২৬ হাজার ৬৭২টি বিভিন্ন ধরনের পরিবহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে পরিবহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। তবে ঈদের পর ফিরতি পথে এর পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুব আলম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকার টোল আদায়ের মধ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ এ রেকর্ড অর্জন করেছে। এর আগে গত বছর ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকার টোল আদায়ের রেকর্ড হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের স্বাভাবিক চলাচল আর নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা পুলিশের প্রায় এক হাজার সদস্য মহাসড়কে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রথমে যমুনা বহুমুখী সেতু নামে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে এটিকে নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু সেতু নামকরণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯৮ সালে। সেতুটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরের টাঙ্গাইল এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের ২৫টি জেলাকে সংযুক্ত করেছে।