রহিম রেজা, রাজাপুর (ঝালকাঠি) :-
ঝালকাঠির রাজাপুরের বাগড়ি গ্রামে মাত্র ৩ হাজার টাকার অভাবে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে হাফিজা বেগম (২৮) নামে এক দরিদ্র গৃহবধূ চিরতরে পঙ্গু হতে চলেছে। হঠাৎ জ¦রে আক্রাস্ত হয়ে দুই পাসহ কোমড়ের নিচের অংশ অবশ হয়ে যাওয়া স্ত্রীকে নিয়ে বসতভিটাহীন দরিদ্র রিক্সাচালক স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন খান বিভিন্ন জনের কাছে গিয়ে ধর্ণা দিচ্ছেন, আর চোখের পানি ফেলছেন। মায়ের এমন পরিস্থিতি তাহ ঘুটিয়ে বসে নেই ৮ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে রমজান খানও। সে মায়ের চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে ভিক্ষা শুরু করেছে। হাফিজা বেগমের চুড়ান্তভাবে চিকিৎসা শুরুর পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা জোগাড় করতে না পাড়ায় ৭ দিন ভর্তি রাখার পর বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে এসে এসব বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে হাফিজার স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান, সম্প্রতি হঠাৎ জ¦রে আক্রাস্ত হয়ে দুই পাসহ কোমড়ের নিচের অংশ অবশ হচ্ছে। নিজে প্রতিদিনি ২শ’ টাকা জমা চুক্তিতে ভাড়ায় নিয়ে রিক্সা চালিয়ে বসতভিটা হীন পরিবার নিয়ে বাগড়ি গ্রামের এক আত্মীয়ের বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
যা রোজগাড় হয় তা দিয়ে কোনমতে সংসার চালালেও স্ত্রীর চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ছেলের পড়া লেখাও বন্ধ। বর্তমানে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা হলে হাফিজার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তারা নিশ্চিত করে বলতে পারবেন তাকে পুরোপুরি চিকিৎসায় কত টাকা ব্যয় হবে। নাকি চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাবে হাদিজা, জানান স্বামী জাহাঙ্গীর। তিনি আরও জানান, জাহাঙ্গীরের পৈত্রিক বাড়ি পটুয়াখালির গরাচিপায়, তার বাবার নাম কাসেম খান এবং হাদিজা রাজাপুরের ইন্দ্রপাশা গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে। দীর্ঘদিন আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শ^শুরবাড়ি রাজাপুরেই শ^শুরের বাশতলা গ্রামের আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করে আসছিলো। কয়েকদিন পূর্বে সেখান থেকেও তাকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে, নিরুপায় হয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বাগড়ি গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। জাহাঙ্গীর হোসেন খান (০১৭০১৭৫৩৯৭৭) স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগীতায় কামনা করেছেন।