যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে মসজিদের কাছে মুসল্লিদের ওপর ভ্যান ‘উঠিয়ে দিয়ে হামলার’ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বাংলাদেশি নাগরিক গাড়ির আঘাতেই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ। রয়টার্স
এর আগে, গাড়ির আঘাতে না কি অন্য কোনো কারণে ওই ব্যক্তির তার মৃত্যু হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
গত সোমবার ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, লন্ডনে মসজিদের কাছে মুসল্লিদের ওপর ভ্যান হামলায় নিহত ব্যক্তি প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক।
সোমবার লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ১২টার দিকে লন্ডনের সেভেন সিস্টারস রোডের মুসলিম ওয়েলফেয়ার মসজিদের মুসল্লিদের ওপর ভ্যান হামলা চালানো হয়। তারাবি নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন মুসল্লিরা।
রয়টার্স বলছে, লন্ডনে ভ্যান হামলায় এক ব্যক্তি নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক চালককে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
টেলিগ্রাফ বলছে, লন্ডনের সেভেন সিস্টারস রোডের মুসলিম ওয়েলফেয়ার মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হামলায় নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশি প্রবীণ।
দাতব্যকর্মী সুলতান আহমেদ টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমার চাচা যখন মসজিদ ত্যাগ করেন তখনই মুসল্লিদের ওপর ভ্যানটি চালিয়ে দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশি এক বয়স্ক প্রবাসী ভ্যানচাপায় মারা যান।
তিনি বলেন, মসজিদের একদল মুসল্লি তাকে (ভ্যানচাপায় আহত বাংলাদেশিকে) সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন। এ সময় তাদের ওপরও ভ্যানটি চালিয়ে দেয়া হয়। ভ্যানচাপায় অন্তত দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মুসল্লিদের ওপর ভ্যান চালিয়ে দেয়ার সময় চালককে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, তিনি সব মুসলিমকে হত্যা করবেন।
রয়টার্স বলছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে লন্ডনের মসজিদের এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করছেন। তবে থেরেসা মের এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে গত মার্চ থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত চতুর্থ হামলা এটি।