অনলাইন ডেস্কঃ
গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কে বাস দাঁড়িয়ে। সেখানে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবকের জটলা। ঈদে সবাই বাড়ি যেতে চান। তাই চোখেমুখে ছটফটে একটা ভাব। বাসের ভেতরের চেয়ে ছাদের খবরই বেশি নিচ্ছেন তাঁরা।
ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের শ্রাবন্তী এন্টারপ্রাইজ নামে বাসটির ভেতরের যাত্রীরা তখন অস্থির হয়ে উঠেছেন। ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কিছুক্ষণ পরপর তাঁদের অনেকে বটতলার ছায়ার চলে যাচ্ছেন। কেউ–বা বাসের ছাদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠা–নামা করছেন। অনেকে আবার বাসের চালক ও চালকের সহযোগীর (হেলপার) কাছে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভাই, বাস কখন ছাড়বেন?’ চালক ও হেলপারের একই কথা। ‘আর অল্প সময়।’
বাসটি দাঁড়িয়েই থাকে। পার হয়ে যায় দেড় ঘণ্টা। একসময় সড়কে জটলা করা যুবকেরা সবাই বাসের ছাদে উঠে পড়েন। ভেতরে যাত্রীরাও নিজেদের আসনে বসে পড়েন।
বাসের ভেতরের একটি টিকিটের দাম ৭০০ টাকা। বাসটির ছাদে বসার জন্য একজন যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ২০০ টাকা।
ছাদে যাত্রী তোলার কারণ জানতে চাইলে বাসের এক হেলপার বলেন, ‘সব নামাই দিসি। ছাদে লোক লিব না।’ কিছু সময় পর আবারও বাসের ছাদে লোক ওঠানো শুরু হয়। এ সময় বাসের আরেক হেলপার হাসিমুখে বলেন, ‘ভাই। কী কুরব। সবাই গরিব মানুষ। ২০০ টাকার বেশি দিতে চায় না। ঈদ তো। তাই ইকটু লিয়া গেলাম।’
সবাই যখন হইহুল্লোড় করতে থাকেন, তখন বাসচালক ইঞ্জিন চালু করেন। বেলা দেড়টার দিকে বাসটি যাত্রা শুরু করে। ভেতরে ও ছাদে ঠাসাঠাসি করে প্রায় ৭০ জন যাত্রী। অথচ বাসের ধারণক্ষমতা ৪০ জনের।