কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ২২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বখাটের নাম হাফিজুর রহমান (৩৫)। গত সোমবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি বাসা থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার ও বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আরো দুই বখাটে পলাতক রয়েছে। রৌমারী থানার এসআই জিল্লুর রহমান জানান, গত ৩০ মে ডিগ্রি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় তিন বখাটে। তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বখাটে হাফিজুর তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপর গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি বাড়িতে ২২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করতে থাকে। এমনকি ধর্ষণের চিত্র ভিডিও রেকর্ডও করে তারা। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেন। পরে কৌশল অবলম্বন করে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও বখাটে হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নির্যাতনের শিকার কলেজ ছাত্রী বলেন, ‘আমাকে বিয়ের কথা বলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বিয়ে না করে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে। আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হতো না। দিনের বেলায় ঘরে আটকে তালাবদ্ধ করে রাখে। আর রাতের বেলায় চালায় নির্যাতন। আমার অশ্লীল চিত্র ভিডিও রেকর্ড করে তারা। বলে, আমাদের কথা না শুনলে ওই ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমি কোনো উপায় না পেয়ে তাদের কথামতো চলি। ’ কলেজ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ‘বখাটেরা মোবাইল ফোনে আমাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। ওই টাকা না দিলে তাকে ছাড়া হবে না। এমনকি রেকর্ডকৃত অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। কখনো হুমকি দিচ্ছে টাকা না দিলে তোর বোনকে মেরে ফেলা হবে। এ অবস্থায় আমরা বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছি। পরে আমরা থানা পুলিশের সহযোগিতা নেই। ’ রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ বি এম সাজেদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামিকে আদালতে প্রেরণ করে আরো তথ্য জানার জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।