গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকায় মেহেরুন্নেছা গার্মেন্টস ও ক্যাপরি অ্যাপারেলস নামে একই ব্যক্তির মালিকানাধীন দুটি পোশাক কারখানায় দুই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিকের সঙ্গে বুধবার রাতে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৮ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধ শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আহত শ্রমিকদের মধ্যে ৮ জনকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং রাত সোয়া ১১টায় এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত আরও ৩০ শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে আহত শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা জানান, গত মে মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। সোমবার মে ও জুন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের কথা ছিল। কর্তৃপক্ষ এ দিন বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। সর্বশেষ বুধবার দিনভর শ্রমিকদের অপেক্ষায় রেখে কারখানার মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তারা কৌশলে পালিয়ে যায়।
এতে শ্রমিকরা বিসিক প্রধান সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শ্রমিকরা রাস্তায় বসে ইফতার করে। সন্ধ্যার পর পুলিশ শ্রমিকদেরকে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। দুই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করা পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলে রাত ৮টায় পুলিশ শ্রমিকদের ওপর লাঠি চার্জ শুরু করে।
এতে পুলিশ-শ্রমিক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় টঙ্গী বিসিক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এতে প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিক আহত হন। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী শ্রমিক।
টঙ্গী শিল্প পুলিশের ইনচার্জ আবু রায়হান সোহেল বলেন, শ্রমিকরা বৃষ্টির মতো আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে আমরা আত্মরক্ষার্থে মাত্র এক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও সাত রাউন্ড রাবার বুলেট ব্যবহার ছুঁরে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করি।