‘চাকরির জন্য ব্যস্ততা থাকে যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও মার্কেট ঘুরে ঘুরে শপিং করতে পারি না। এসব কারণে ঝামেলাহীন অনলাইনে শপিং করেছি এবার। এদের সার্ভিসও ভালো, অর্ডার করার পরদিনই হোম ডেলিভারি দিয়ে গেছে। এছাড়া কেনাকাটায় পেয়েছি নানা ধরনের ছাড়ও’ বলছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণী। ব্যস্ততার কারণে এবারের ঈদের কেনাকাটা তিনি সেরেছেন অনলাইনে।
বর্তমানে অনেক অনলাইন শপ, ফেসবুক পেজে পণ্যের সমাহার থাকে। তাই বিচার বিশ্লেষণ করে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করা যায় উল্লেখ করে অনলাইন শপের আরেক ক্রেতা নুসরাত ফারজানা বলেন, অনলাইন শপের ক্ষেত্রে এখন অনেক প্রতিযোগী। এছাড়া সাইট, পেজ অনেক হওয়ার কারণে কালেকশনও পাওয়া যায় অনেক। অন্যদিকে দরদামও সাধ্যের মধ্যে। মান এবং পণ্য ডেলিভারির দিকটির দিকে সঠিক নজর দিলে ই-কমার্স সেক্টরটি খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ইক্যাব) এক তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ই-কমার্সে জড়িত প্রায় এক হাজার ওয়েবসাইট আর আট হাজারেও বেশি ফেসবুক পেজ আছে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের মতো ডেলিভারি হয়, যা প্রতি মাসে দাঁড়ায় আনুমানিক পাঁচ-ছয় লাখের মতো। ই-কমার্স এমন একটি সেক্টর, যেখানে ২৪ ঘণ্টা ব্যবসা হতে পারে। দিন দিন এটা আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ফেসবুকভিত্তিক একটি অনলাইন শপের স্বত্বাধিকারী আবু সিনা বলেন, থ্রি-পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, বাচ্চাদের পোশাক, জুয়েলারি, চশমা, ঘড়ি, প্রসাধনী, ওয়ালেট, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্সসহ সব পণ্যই এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। এর দরদামও নাগালের মধ্যে। তাই ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে অনলাইন শপ।
অনলাইন শপ মালিকদের মতে, অন্যবারের তুলনায় এবার বিক্রি বেশি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে ই-কমার্স সাইটগুলোর সার্ভিসে গ্রাহকের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ঈদ সামনে রেখে অনলাইন শপগুলো দিয়েছে মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন রকমের অফার। সব মিলিয়ে এবারের ঈদ সামনে রেখে অনলাইনে ব্যাপক জমেছে ঈদের কেনাকাটা।
এবারের ঈদে পোশাক ছাড়াও জুয়েলারি, চশমা, ঘড়ি, প্রসাধনী, ওয়ালেট, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর উল্লেখ করে ‘সেল বিডি’ নামক অনলাইন শপের স্বত্বাধিকারী আতিকুর রহমান বলেন, আগে যা বিক্রি হতো ঈদ সামনে রেখে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্ডার আসছে। বর্তমানে অনলাইনে কেনা-কাটার ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। সাধারণ ক্রেতারা এখন অনলাইনে কেনাকাটায় বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আসন্ন ঈদ সামনে রেখে তা আরও বেড়েছে।