ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার ছুটি দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ঈদের ছুটি ৩ দিনের পরিবর্তে ৬ দিন করা হচ্ছে।
ছুটি বাড়ানোর একটি প্রস্তাব ইতোমধ্যে তৈরি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা সায় পেলেই এটি কার্যকর হবে।
প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে এবার ঈদের ছুটি শুরু হবে ২৪ জুন শনিবার থেকে। শেষ হবে ২৯ জুন বৃহস্পতিবার। ছুটির পর দু`দিন সাপ্তাহিক বন্ধ। সবমিলিয়ে এবার ঈদের ছুটি দাঁড়াবে ৯ দিন। এই ৯ দিন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদে ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি উপস্থাপনের কথা রয়েছে। ছুটি তিন দিন বাড়ানো হলে তা আবার সরকারি কর্মচারীদের ঐচ্ছিক ছুটি থেকে কেটে নেয়া হবে। অর্থাৎ বছরের নির্ধারিত ছুটি ঠিকই থাকবে। শুধু ঐচ্ছিক ছুটির সঙ্গে ঈদের ছুটি সমন্বয় করা হবে।’
জানা গেছে, নৈমিত্তিক ছুটি থেকে অতিরিক্ত ৩ দিন করে কেটে নেয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বছরে ২০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি থেকে ৩ দিন করে দুই ঈদে মোট ৬ দিন কেটে নিয়ে ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদে ছুটি বাড়ানোর দাবি সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের। ২০১০ সালে ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি তিন দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিন করার প্রস্তাব দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যদিও পরে সরকার এটি নাকচ করে দেয়। কিন্তু এবার দাবি বিবেচনায় নিয়ে ও ঈদে যাতে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে এজন্য ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী আদেশে গত দুই ঈদে এক দিন করে ছুটি বাড়িয়েছিলেন। এ জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের অতিরিক্ত একদিন অফিস করতে হয়েছে।