ফাইনালে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। ভারতের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনিই। টিম ইন্ডিয়ার টপ-অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকেই সাজঘরে ফেরান আমির। রোহিত শর্মা (০) শিখর ধাওয়ান (২১) ও বিরাট কোহলিকে (৫) আউট করেন তিনি। ৬ ওভারেই ২টি মেডেনসহ ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আমির।
অনেকেরই হয়তো ভাবনা ছিল আমিরই হতে পারেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু না। পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়া ফাখর জামানই বনে গেলেন ফাইনালের নায়ক। খেলেছেন ১১৪ রানের ইনিংস।
১০৬ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ফাখর। হার্দিক পান্ডিয়ার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। দলীয় ২০০ রানের মাথায় আউট হন। ততক্ষণে পাকিস্তানের বড় পুঁজির ভিত গড়ে ফেলে।
এই টুর্নামেন্টে বল হাতে ধারাবাহিক ছিলেন হাসান আলি। ৫ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানি এই বোলার। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের সুবাদে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। ফাইনালে ৬.৩ ওভার বোলিং করে একটি মেডেনসহ ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ফাইনালে ১৮০ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতল পাকিস্তান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রান তোলে সরফরাজ আহমেদের দল। জবাবে ৩০.৩ ওভারে ১৫৮ রানে অলআউট হয় ভারত।