বিপজ্জনক কোনো প্রাণীর কথা ভাবলে ধারালো নখ, ভয়ঙ্কর বিষ দাঁত অথবা শক্তিশালী বিশাল থাবার কথা মাথায় আসে। ভয়ঙ্কর প্রাণীর তালিকায় সাপের নাম সবার উপরে। অনেকেই এই প্রাণীর কবলে পড়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকেও ফিরে আসেন। অনেকেই চলে যান না ফেরার দেশে। সে কারণে সাপের পরিচিতি বিপজ্জনক প্রাণী হিসেবে।
সাপের মধ্যে আবার ভয়ঙ্কর ভাবা হয় বিষধর প্রজাতির সাপকে। রাসেল ভাইপারের নাম শুনলে অনেকেই আঁতকে ওঠেন। স্যাঁতস্যাঁতে কোনো স্থানে যেতে ভয়ে গা ছমছম করে। অথচ বিরাট শরীরের অজগরকে সেভাবে বিপজ্জনক মনে করা হয় না। বিশালদেহী এ সাপ বিষে না হলেও বাগে পেলে কুপোকাত করে দিতে পারে যে কাউকে। সম্প্রতি ভারতের আসাম প্রদেশের বাইহাটা চারিয়ালি গ্রামের মানুষজন অবাক হয়ে সেরকম এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বলে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে এক অজগর গ্রামের এক ব্যক্তির ছাগল আস্ত খেয়ে ফেলেছে। কিন্তু গ্রামবাসীও ছাড়ার পাত্র নয়। প্রতিবেশীর ছাগল খেয়ে বিনা বাধায় অজগরকে ফিরে যেতে দেয়ার পাত্র নন তারাও। সাপটিকে আর জঙ্গলে ফিরতে দেননি তারা। উৎসুক জনতা মিলে দড়ি দিয়ে সাপটির গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন।
ছাগল খেয়ে নড়তে না পারা সাপটিও এতে বিড়ম্বনায় পড়ে যায়। ফুঁসফাঁস করলেও একদিকে পেটে ছাগলের ভার, অন্যদিকে গলায় লাগানো ফাঁস। নিরূপায় হয়ে জনগণের বিনোদনের প্রাণীতে পরিণত হয় সাপটি।
ছাগল খেয়ে ফেলার রাগে প্রাণীটিকে না মেরে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মীদের খবর দেন স্থানীয়রা। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীরা এসে অজগরটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যান। ছাগল খাওয়ার অপরাধে এরকম সংকোচে ফেলে দেয়ার জন্য বিদায় বেলায় একটু রাগও দেখায় সাপটি।
ভাগ্য ভালো অজগরটির নজর পড়েছিল ছাগলের ওপর। কোনো শিশুকে বাগে পেলে আস্ত চালান করে দিতে পারত ওই সাপ। বাইহাটা চারিয়ালি গ্রামের মানুষের ভাগ্য সেদিক থেকে ভালোই বলা চলে। ছাগলের ওপর দিয়ে তাদের ফাঁড়া কেটে গেছে।