গত ৯-১১ জুন হয়ে গেল নেপাল ও বাংলাদেশের যুবকদের নিয়ে একটি ইয়ুথ কনক্লেভ। সাতটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে নেপালের রাজধানী কাটমান্ডুতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসফি বিনতে শামস।
সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়গুলো হচ্ছে ছিল নেপাল-বাংলাদেশ ট্রেড রিলেশন: ব্যারিয়ারস অ্যান্ড অপরচুনিটিস, ইয়ুথ রোল ইন ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি, ইয়ুথ স্টেওয়ারডসিপ ইন এসডিজি অ্যাচিভমেন্ট; মাইগ্রেশন: কেইস স্টাডিস-লিগাল মেকানিজম বিহাইন্ড দি ডিটেনশন অব মাইগ্রেন ওয়ার্কাসে কমপারেটিভ স্টাডি অব বাংলাদেশ অ্যান্ড নেপাল; উইমেন রোল ইন ডেভেলপমেন্ট পারসপেক্টেটিভস ফর্ম সাউথ এশিয়া, সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডাইজেস্টার রেজিলেন্স ইন সাউথ এশিয়া।
অনুষ্ঠানে নেপালের শীর্ষস্থানীয় গবেষক, আইনজীবী, সমাজ বিশ্লেষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সংসদ সদস্য, সাংবাদিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, শিক্ষক ও এনজিও ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল ও বাপ্পাদিত্য বসুর নেতৃত্তে ৪৫ সদস্যের একটি যুব প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে নেপাল ও বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায় কীভাবে দু`দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে বিভিন্ন সেশনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। পাশাপাশি বিশ্ব জলবায়ুর পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে কীভাবে উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে অংশগ্রহণকারী যুবক ও প্রবন্ধ উপস্থাপনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও আদিবাসি নারীদের ক্ষমতায়ণ সম্পর্কে নারী নেত্রী শিমুল খান ও জাতীয় আদিবাসী যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং বাংলাদেশে আদিবাসীদের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনের শেষভাগে নেপাল-বাংলাদেশে ঘোষণা প্রদান করা হয়ে। সম্মেলন থেকে আগামীতে দক্ষিণ এশিয় যুব সম্মেলনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।