গত দুই বছর ধরে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে টিম বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তার প্রমাণ রেখেছে।
অনেকে হয়তো ভাবেনি যে বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে খেলতে পারে। কারণ টাইগারদের গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটের তিন পরাশক্তির সঙ্গে পেরে উঠতে পারবে তো বাংলাদেশ? টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে এমন প্রশ্নই ছিল বিদ্যমান।
যাইহোক, কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে পরাস্ত করেছে মাশরাফি বাহিনী। আর ইংল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়া হেরে যাওয়ায় ভালোই হয়েছে টাইগারদের। নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে নিজেদের কৃতিত্বেই সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালের বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২৬৪ রানের পুঁজি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপের সামনে এই পুঁজি যথেষ্ট ছিল না! হলো ঠিক তা-ই। রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি আর বিরাট কোহলির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভারত পেয়ে যায় ৯ উইকেটের বড় জয়। টাইগারদের স্বপ্ন থেমে যায় শেষ চারেই।
সবচেয়ে বড় কথা, আইসিসির মেগা আসরে এবারই প্রথম সেমিফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন টাইগাররা। তাই মাশরাফি-সাকিব-তামিমদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। লঙ্কান এই কিংবদন্তি জানালেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেভাবে খেলেছে, তাতে গর্ব করতে পারে বাংলাদেশ।
সাঙ্গাকারার ভাষায়, ‘(চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে) বাংলাদেশ তাদের অর্জন নিয়ে গর্ব করতে পারে। আমি বলব, তাদের আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। বোলিংয়ে নজর দিতে হবে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আগামী বিশ্বকাপে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গতে তুলতে চায়। তাদের দলে অনেক প্রতিভা আছে। টিম হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে পারলে সাফল্য আরও ধরা দেবে। দেশে কিংবা বিদেশেও। সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এখনই।’