২০১৫ সালের ভূমিকম্পে এভারেস্টের উচ্চতায় পরিবর্তন ঘটেছে বলে মনে করছে নেপাল। সেজন্যে আাগামী দু’বছর ধরে এভারেস্টের উচ্চতা মাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার।
নেপালের জরিপ দফতর জানিয়েছে, এভারেস্টের উচ্চতা আগের জরিপগুলো অনুযায়ী ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার (২৯ হাজার ২৯ ফুট) বলে মনে করা হয়। কিন্তু এভারেস্টের ভৌগোলিক অবস্থানে পরিবর্তন ঘটেছে বলে মনে করে তারা।
নেপালের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট পত্রিকা জানিয়েছে, আগামী দুবছর ধরে তারা এভারেস্টের উচ্চতা মাপবে। সেই সঙ্গে সেখানে জলবায়ুর পরিবর্তনের কী প্রভাব পড়েছে সেটাও দেখা হবে। পুরো জরিপে খরচ হবে প্রায় তের লাখ ডলার।
এভারেস্টের উচ্চতা মাপা হবে এই পর্বত শৃঙ্গের তিন দিক থেকে। শেরপারা এই জরিপের জন্য জরিপের যন্ত্রপাতি বহন করে পর্বত চূড়ায় নিয়ে যাবেন।
তবে এভারেস্টের উচ্চতা মাপার জন্য নেপালের এই উদ্যোগই একমাত্র উদ্যোগ নয়। গত সপ্তাহে ভারতের জরিপ অধিদফতরও একই কাজ করার ঘোষণা দেয়।
অনেক ভূতত্ববিদ মনে করেন, ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে এভারেস্ট শৃঙ্গ কিছুটা বসে গেছে।
এভারেস্ট শৃঙ্গের হিলারি স্টেপ বলে পরিচিত একটি প্রস্তরখন্ড ধসে পড়েছে বলেও মনে করেন অনেকে। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহনের ক্ষেত্রে ‘হিলারি স্টেপ’কে সর্বশেষ বাধা হিসেবে গণ্য করা হয়।
গত মাসে এক ব্রিটিশ পর্বতারোহী দাবি করেন যে ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে এই প্রস্তরখন্ড ধসে পড়েছে। তবে নেপালের শেরপারা সাথে সাথে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, প্রস্তরখন্ডটি আগের জায়গাতেই আছে। সেটি হয়তো তুষারে ঢাকা পড়েছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা