লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ জন নিহতের তথ্য প্রকাশ করেছেন। এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে লন্ডনের ওই টাওয়ারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দুই শতাধিক ফায়ার সার্ভিস কর্মী টানা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন কাউকে জীবিত পাওয়া গেলে তা হবে ‘মিরাকল’। তারা শতাধিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ জন নিহতের তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কমীরা বলছেন, মঙ্গলবার রাতে আগুন ছড়িয়ে পড়া গ্রেনফেল টাওয়ারে এখন কারো জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই। ভবনের ভেতরে এখনো অনেকে নিহত মানুষ রয়েছেন। ধসের ঝুঁকি থাকায় ২৪ তলা বিশিষ্ট ওই ভবনের ওপরের অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না তারা।
লন্ডনের লেবার দলীয় এমপি ডেভিড ল্যামি বুধবার ওই অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাকে ‘কর্পোরেট হত্যাকাণ্ড’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে ভবন নির্মাণ ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। লেবার দলীয় এই এমপি শতাধিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এক বন্ধুর নিখোঁজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে রয়েছে। অামি আশঙ্কা করছি, নিহতদের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত শতাধিকে গিয়ে পৌঁছাবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বুধবার অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভয়াবহ এই বিপর্যয় তদন্তে পূর্ণাঙ্গ সরকারি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
লন্ড ফায়ার সার্ভিসের প্রধান ড্যানি কট্টন বলেন, ওপরের অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে তল্লাশি চলছে। তবে সেখানে কারো জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া ভবনের একদম ওপরের কক্ষগুলোতে এখনো প্রবেশ করা যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডে আহত অন্তত ৭৮ জনকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজন বলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।