কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদী থেকে বাংলাদেশি দুই জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নাফনদীর ১ নং স্লুইচ গেইট সংলগ্ন এলাকা থেকে নৌকাসহ তাদের ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিজিপি ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন টেকনাফ পৌরসভা জালিয়াপাড়া এলাকার মো. কাশিমের ছেলে নুর কামাল (৩০) ও মো. হোসেনের ছেলে আবদুল করিম (৩২)।
জেলে নুর কামালের বাবা মো. কাশিম ও স্ত্রী নুরী খাতুন জানান, অন্যান্য দিনের মতো নাফনদীতে মাছ ধরতে গিয়ে আর ফেরত না আসায় পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেন। পরে নাফনদীতে যাওয়া অন্যান্য জেলেরা তাদের জানান দুইজনকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্যরা নাফনদীর জলসীমা থেকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে গেছে।
মো. হোসেন জানান, নাফনদীতে মাছ ধরতে হলে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছ থেকে একটি বিশেষ টোকেন নিতে হয়। টেকনাফ পৌর এলাকার আবদুল হামিদের ভাড়াবাসায় থাকা মমতাজ মিয়া নামের এক দালাল এ টোকেন দেন। নুর কামাল টোকেন নেয়ার পরও তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি ওই দালাল এবং বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে।
মমতাজ মিয়া নামের ওই দালাল টোকেন দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জেলেদের সুবিধা এবং মঙ্গলের জন্য তিনি মাধ্যম হয়ে এ কাজটি করেন। কিন্তু তারপরও কেন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানতে বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
টেকনাফস্থ ২-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম জানান, নাফনদী থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনার পর দোভাষি দিয়ে বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা দুই জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য মংডু বিজিপির চৌকিতে এনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে পরিবার সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাদের ফেরত দেয়নি বিজিপি সদস্যরা।