‘কুকুরের গায়ে ভারতের পতাকা এবং বাঘের গায়ে বাংলাদেশের পতাকা। সেই বাঘ ধাওয়া করছে কুকুরকে। প্রাণপনে ছোটার চেষ্টা করছে ভারতীয় পতাকা জড়িত কুকুরটি’- ফটোশপের মাধ্যমে এভাবেই ভারতকে অপমান করে ছবিটি তৈরি করেছে বাংলাদেশের কোনো এক গোঁড়া ক্রিকেট সমর্থক। প্রতিযোগিতায় এ ধরনের নোংরা মানসিকতা বরং দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের আবহ তৈরি করে। রেষারেষি সৃষ্টি করে।
ভারতীয় প্রথম সারির প্রায় সবগুলো পত্রিকার অনলাইনেই ছবিটি শোভা পাচ্ছে। সবাই ক্ষুব্ধ, ক্ষিপ্ত। তাদের কথা, সোশ্যাল নেটওয়ার্টে এ কেমন অসভ্য আচরণ বাংলাদেশের সমর্থকের। কুকুরের গায়ে জড়িয়ে দেবে একটি দেশের জাতীয় পতাকা! আজ সারাদিনই ভারতীয় মিডিয়া এ নিয়ে সরগরম।
মিডিয়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে আজ বার্মিংহ্যামের সংবাদ সম্মেলনেও উঠলো বিষয়টি। কলকাতার বাংলা মিডিয়ামের এক সাংবাদিক মাশরাফির কাছে প্রশ্নটা রাখলেন। বললেন, ‘আপনাকে বাংলাদেশের মানুষ শুধু ক্যাপ্টেন হিসেবে জানে না, একজন লিডার হিসেবে দেখে। সম্মান করে। এই ম্যাচ ঘিরে, ম্যাচের বাইরে নানান কথা-বার্তা হয়, যেগুলো ঠিক ক্রিকেটীয় নয়। অনেকটা হাইপ তোলে। অধিনায়ক হিসেবে সেগুলোকেও কি হ্যান্ডেল করা কঠিন হয়ে যায়? টিমকে তার থেকে দুরে রাখার জন্য?’
মাশরাফি সমর্থকদের সংযত হওয়ারই পরামর্শ দিলেন এতে। তবে তার কথায় কিছুটা অসহায়ত্ব ঝরে পড়লো। তিনি বলেন, ‘প্রথমত হচ্ছে যে, এগুলো আসলে খেলোয়াড়দের কন্ট্রোলের বাইরে থাকে। এ জিনিসগুলো আসলেই কারোরই কাম্য নয়। কারণ, দিন শেষে এটা শুধুই একটি খেলা। এখান বসে আমি কিংবা অন্য দলের অধিনায়ক যেই বলুক না কেন, আসলে কোনো কাজ হয় না। আমি আগেও দেখেছি। আসল কাজ হচ্ছে ওদিকে মন না দেয়া এবং নিজের খেলাটা খেলে যাওয়া। এর বাইরে আসলে কিছু করারও থাকে না।’