তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেছেন, দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে আমরা উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেব। এ বিষয়ক দুটি প্রকল্প থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল দিয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেব।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটর উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা ৪টি খাতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এগুলো হল মানব সম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, ই গর্ভনেন্স প্রতিষ্ঠা করা এবং আইসিটি সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ।
তিনি বলেন, সফটওয়ার শিল্পে ২৬ মিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭’শ মিলিয়ন ডলারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি টার্গেট আমাকে দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে, ২০২১ সাল নাগাদ হার্ডওয়ার-সফটওয়ার সার্ভিস সেক্টর থেকে রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৫ শত কোটি ডলার আয় করা। এই সেক্টরে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য সেভেন ফাইভ-ইয়ার প্ল্যান করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই টার্গেট পূরন করতে অর্থমন্ত্রীর কাছে আইসিটি পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু আবেদন করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রতিবছর ৫ লাখ ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রায় ৩০ লাখ মোবাইল ফোন, প্রায় ২০ লাখ রেফ্রিজারেটর আমদানি করা হয়। আমাদের হাজার হাজার কোটি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার জন্য আমরা দাবি করেছিলাম একশটি কাঁচামাল পণ্যে যদি রিয়াতি প্রদান করা হয় তাহলে আমাদের দেশি শিল্প প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। অর্থমন্ত্রী আমাদের আইসিটি পরিবারের সেই দাবি গ্রহণ করেছেন। তিনি ৯৪টি পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করেছেন। ফলে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশেকে আইসিটির অন্যতম আকষর্ণীয় গন্তব্য হিসেবে তৈরি করার জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি সেক্টরের সব ধরনের ট্যাক্সকে উনি অবমুক্ত করেছেন। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এই মুহূর্তে এতো বিনিয়োগ বান্ধব নয়।
তিনি বলেন, সরকার সারা বাংলাদেশে সাড়ে ৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছে। আগামীতে প্রাইমারি, হাইস্কুল এবং কলেজ মাদরাসায় আরও ১৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ যে ৬৫ হাজার কোটি দেয়া হয় তা নিয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। তা দূর করার জন্য ২০২১ সাল নাগাদ ক্যাশলেস সোসাইটির একটি গর্ভমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি।