উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে এখনও চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৬টার দিকে নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ভোলা ও এর আশপাশের উপকূলীয় এলাকায় স্থল নিম্নচাপরূপে অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর পূর্বে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হবে।
সোমবার আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি উত্তর পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার সকাল ছয়টার দিকে ভোলা ও এর আশপাশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর পূর্বে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযান ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবার বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় ২-৪ ডিগ্রি ও রাতে ১-২ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমতে পারে। রবিবার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর টেকনাফে সর্বোচ্চ ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।