বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে এক এবং অন্যতম তাজমহল৷ যার ইতিহাস কম বেশি সকলেরই প্রায় জানা৷ আগ্রার এই স্থাপত্য ভালোবাসার প্রতীক বলে মনে করা হয়৷ এর সৌন্দর্য এবং জাদু এমনই যে আজও এত বছর পরেও সেই মায়ায় মোহিত হতে বাধ্য সকলে৷
১) শুধু পর্যটনক্ষেত্রই নয় এই তাজমহল পাঠ্যক্রমেরও অন্তর্ভুক্ত৷ মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬৫৩সালে মুমতাজের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই তাজমহল তৈরি করিয়েছিলেন৷ এটি একটি সমাধিক্ষেত্র৷
২) তাজমহলের নির্মাণের জন্য বাগদাদ থেকে এক কারিগরকে নিয়ে আসা হয়, যিনি পাথরের ওপর বাঁকা হরফ খোদাই করতে পারতেন৷
৩) অনেক উচ্চতায় গম্বুজ নির্মাণের জন্য ইস্তাম্বুলের কারিগর নিয়ে আসা হয়৷ মিনার তৈরির জন্য সমরকন্দ থেকে কারিগর আসে৷ এভাবেই প্রায় ২৫,০০০-এর বেশি কারিগর তাজমহলের নির্মাণ করেছিল৷
৪) শাহজাহান-মুমতাজের প্রেমের নিদর্শন এই তাজমহল৷ এর মাঝেই মুমতাজের সমাধিস্থল৷ বেগম মুমতাজ মহল সাদা মার্বেলে তৈরি করা হয়৷ তাঁর কবরের ওপর সুন্দর নক্সা করা রয়েছে৷ রয়েছে প্রশংসাসূচক কথাবার্তাও৷
৫) বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্য বললেও যেন কম বলা হয়৷ এই তাজমহলকে ইউনেসকোর পক্ষ থেকে বিশ্বের এক ঐতিহ্যবাহী বিষয় হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়৷ এটি ‘মুমতাজের স্মৃতিসৌধ’ নামেও পরিচিত৷
৬) গম্বুজগুলির চারপাশে আরও ছোট ছোট গম্বুজাকৃতির ছাতা রয়েছে, যার ফলে মুমতাজমহলের স্মৃতিসৌধে সূর্যকিরণ পড়ে৷
৭) আগ্রার তাজমহলের প্রধান আকর্ষণ এই স্মৃতিসৌধ৷ এই সৌধ ৪২একর জমির ওপর বিস্তৃত৷ এর তিন দিকে রয়েছে প্রাচীর৷
৮) তাজমহলের নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই শাহজাহানকে তাঁর পুত্র ঔরঙ্গজেব নজরবন্দি করে রাখেন৷ শাহজাহানের মৃত্যুর পরে তাঁকে মুমতাজের সঙ্গে কবরস্থ করে দেওয়া হয়৷