দেশের ছয় নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ব্যয় করা হবে ৫০০ কোটি ২৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা। নদীগুলো হচ্ছে নরসিংদী জেলার অন্তর্ভুক্ত আড়িয়াল খাঁ নদী, হাড়িদোয়া নদী, ব্রক্ষ্মপুত্র নদ, পাহাড়িয়া নদী, মেঘনা শাখা নদী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুনঃখনন করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। অনুমোদন পেলে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।
কারেন্ট-২/২এরটা-৭/জাতীয়/অর্থ ও বাণিজ্য/চবি
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে প্রায় ৫৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুপাশের নরসিংদী জেলা অবস্থিত। এ জেলা বাংলাদেশের মধ্যে পূর্বাংশে অবস্থিত। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ এবং পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত। নরসিংদী জেলার দু পাশে মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীতে সারাবছর নাব্যতা থাকলেও অন্যান্য নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীর নাব্যতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত ভরাট হয়ে যাওয়া নদীগুলো খনন করলে নদীগুলোর সঠিক নাব্য ফিরে আসবে। এতে এই এলাকার সেচ ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন এবং মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন হবে। এজন্য নরসিংদী জেলার অন্তর্ভুক্ত নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি, পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং বন্যার ভাঙন হতে রক্ষাপূর্বক নৌ-চলাচল ও চাষাবাদ উন্নয়ন এবং পরিবেশ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের জন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- ২৩১ দশমিক ৮০০ কিলোমিটার নদীখনন, ২২ দশমিক ২০৪ কিলোমিটার ঢেউয়ের আঘাত হতে নদীর তীর রক্ষা কাজ এবং ১ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ করা হবে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি, পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং বন্যার ভাঙন হতে প্রকল্প এলাকা রক্ষাপূর্বক নৌ-চলাচল ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হবে তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।