নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পবিত্র ঈদ, পূজাসহ ধর্মীয় উৎসবের পূর্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, বোনাস, পর্যাপ্ত যানবাহনের ব্যবস্থা, যানবাহনের ভাড়া কমানো এবং আইন শৃঙ্খলা উন্নয়ন এবং নিরাপত্তাসহ ৯ দফা দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র বরিশাল জেলা শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি এ্যাড. একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম,স্বপন দত্ত, তুষার সেন, রেজাউল ইসলাম খোকন,স্বম্পা দাশ, আলাউদ্দিন মোল্লা, গৌতম ঘোষ ও শ্রমীক নেতা কামাল হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা তাদের ৯ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবী সমূহের মধ্যে রয়েছে, ঈদ, পূজাসহ ধর্মীয় উৎসবের ১০ দিন পূর্বে শ্রমিক কর্মচারীরা যাতে বকেয়া বেতন-বোনাস পায় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লঞ্চ, স্টীমার, বাস, রেলসহ যানবাহনের ভাড়া কমাতে হবে এবং পর্যাপ্ত যানবাহন চালু করতে হবে। দোকান কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ বছরে ৩৬ দিন আইনানুগ ছুটি এবং ন্যূনতম মজুরী ১৬ হাজার টাকা যাতে পায় তার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় মজুরী কমিশন ঘোষণা এবং আই.এল.ও কনভেনশন মোতাবেক অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দিতে হবে। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর চাপিয়ে দেয়া ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে এবং বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভরশীল এই বাজেট দিয়ে জনদুর্ভোগ বন্ধ করতে হবে।
ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাড়ী যাওয়া ও কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। দর্জি, প্রেস, দোকান কর্মচারী, সিটি ফল হ্যান্ডিলিং শ্রমিক, সেলস্ ম্যান, রেফকো, কেমিষ্ট, অপসোনিন, এম.ই.পি, সু-ফ্যাক্টরী, বেঙ্গল বিস্কুট টেক্সটাইল, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক কর্মচারী সহ ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্ব স্ব দাবী মেনে নিতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের রেশন দাও, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম কমাতে হবে। ইমারত নির্মাণ শ্রমিক আজাদ হত্যার বিচার করতে হবে। মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।