লিটন বাশার.
১৩ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরকে যখন তার সৎ মা উলঙ্গ করে রশি দিয়ে বেধে রান্নাঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন তখন তা ছাপানোর জন্য আমরা পত্রিকার পাতায় জায়গা খুজে পাই না। রাজধানী ঢাকা থেকে কোন চক্কর পড়ে ৫ বছর ও দুই বছর বয়সী দুই টি অবুঝ শিশু ( পরস্পরের বোন) যখন নগরীর বউ বাজারে কান্না করে-তারা বাবা মায়ের কাছে ফিরে যেতে আর্তনাত করে তখন তা প্রকাশের জন্য আমাদের খবরের কাগজে জায়গা হয় না। কিন্ত বিদেশী কুকুর মুনিবের মন বোঝে কি না তা সচিত্র প্রকাশের জন্য রঙিন পাতাই যেন ওদের প্রাপ্য।
আর হবে না কেন, আমাদের শিশুরা যখন রাজপথে- ফুটপাতে না খেয়ে ঘুমায় তখনই তো দেখি বহুতল অট্টালিকার আকাশ ছোয়া আরাম দায়ক ফ্লাটে ধনীর দুলালীর কোলে আদরে দোল খায় এ বিদেশী কুকুর ও বিড়ালরা। বিদেশী এই সব কুত্তারা আবার প্রতিরক্ষা বাহিনীতেও র্যাংগ নিয়ে ( মর্যাদার ) সাথে থাকে। কর্নেল – বিগ্রেডিয়ার পদ মর্যাদার কুত্তা গুলো এ দেশের নিরাপত্তার কাজে এলে সোনারগাও, রেডিসন হোটেলের কক্ষে ঘুমায়। তাই মনপুরার লোমশ কুকুর গুলোকে দেখে আমার খুব আফসোস হতো যে-ওদের পূর্বে পুরুষদের যদি জলদস্যুরা এ দ্বীপে রেখে না যেতো তাইলে ওরাও তো ডগ স্কয়াট হিসাবে এ দেশে এসে বিলাসী জীবন উপভোগ করতে পারতো।
আমি আজো বুঝি না এদেশের গরীব দু:খী মানুষ না হয়ে বিদেশী কুকুর -বিড়াল হওয়া ভাল কি না?
মানুষ নাকি সৃষ্ঠির সেরা জীব! যদি তাই সত্যি হয় তাইলে মানুষের বিবেচনায় মানুষ কেন এতটা তুচ্ছ তাচ্ছল্যের শিকার হচ্ছে আজ?
এ সব বলা কিংবা প্রশ্ন করা আমার শোভা পায় না। অনেকের দৃষ্টিতে হয়তো পাপও বটে।
তবুও গেট কিপারদের বলতে ইচ্ছা করে-
বল কি তোমার ক্ষতি! জীবনের অথৈ নদী—-
পার হয় তোমাকে ধরে– দূর্বল মানুষ যদি!!!!