যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনের ফলাফলে কনজারভেটিভ পার্টি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি ৩১৮টি আসন, লেবার ২৬১টি আসন এবং এসএনপি ৩৫টি আসন জয়লাভ করেছে।
আগাম নির্বাচনের এই ফলাফল ব্রিটেনকে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। এই ফল প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের জন্য পুরোপুরি বিধ্বংসী। কারণ সরকারের মেয়াদ শেষ হবার তিন বছর আগেই থেরেসা মে এই আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন।
তার আশা ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছেড়ে দেয়ার পর আরো বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আলোচনার টেবিলে তার হাত শক্তিশালী হবে। কিন্তু ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে।
থেরেসা মে হঠাৎ করে সাধারণ নির্বাচন ডাকার আগে সংসদে দলের যত আসন ছিল এই নির্বাচনে আসন সংখ্যা তার চেয়েও কমেছে এবং এজন্য মেকে তার সিদ্ধান্তের জন্য লজ্জায় পড়তে হয়েছে।
এই নির্বাচন ব্রিটেনের রাজনীতিতে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সূচনা করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কনজারভেটিভ দলে এরই মধ্যে মে তার পদ ধরে রাখতে পারবেন কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
অনেকের মতে, ডেভিড ক্যামেরন ইইউ গণভোট নিয়ে জুয়া খেলেছিলেন। যে কারণে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করতে হয়েছিল। একইভাবে থেরেসা মে মেয়াদের তিন বছর বাকি থাকতে নির্বাচন দিলেন, যেটার প্রয়োজন ছিল না। তিনিও জুয়া খেলে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে ছুঁড়ে দিয়েছেন।
লেবার নেতা জেরেমি করবিন মেকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মে বলছেন দেশে স্থিতিশীলতার প্রয়োজন এবং তার দল সেই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
লেবারের ঝুলিতে যোগ হয়েছে ২৯টি নতুন আসন এবং কনজারভেটিভ ১৩টি আসন হারিয়েছে। অপরদিকে, নিকোলা স্টারজেনের স্কটিশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি (এসএনপি) খুবই খারাপ ফল করেছে। তারা ২২টি আসন হারিয়েছে। তাদের আসনগুলো গেছে টোরি, লেবার এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের কাছে।