এক সময় ব্রিটিশরা শাসন করতো ভারতীয় উপমহাদেশকে। সময়ের পরিক্রমায় আজ বৃটিশ পার্লামেন্টে থাকছেন বাংলাদেশিরা। বৃটেনের গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবার দেশটির আগাম সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশের তিন কন্যা রুশনারা আলী, রূপা হক এবং বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক বিজয়ী হয়েছেন। এই জয় বাঙালি জাতিস্বত্তার বিজয়।
তিন কন্যাই গতবারের চেয়ে আরও বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। তিনজনই লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
লন্ডনের ইলিং-এ লেবার পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুপা হক ১৩ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। কিলবার্ন থেকে ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। আর বেথনালগ্রিন অ্যান্ড বো থেকে রুশনারা আলী জয় পেয়েছেন ৪২ হাজার ভোটের ব্যবধানে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিন নারীর বিজয়ে আনন্দের ঢেউ লেগেছে যুক্তরাজ্যের বাঙালি কমিউনিটিতে। তাদের জয়ে গর্বিত ও আনন্দিত বাংলাদেশিরাও। এই জয় বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে সারাবিশ্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সব নাগরিকদের বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে পরিচয় করছে। এই জয়ে বৃটেনে বাংলাদেশিদের রাজনীতি আরো মজবুত হলো।
বৃহস্পতিবারের ব্রিটেনের এই আগাম সাধারণ নির্বাচনে টিউলিপ সিদ্দিক ও রুপা হক দ্বিতীয়বার ও রুশনারা আলী তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।
টিউলিপ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪শ’ ৬৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী ক্লেয়ার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯শ’ ৪ ভোট।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মত বৃটেনের পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ।
অপরদিকে রূপা হক পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির জয় মোরিসি পেয়েছেন ১৯ হাজার ২শ’ ৩০ ভোট। ২০১৫ সালের বৃটেনের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন রূপা হক।
রুশনারা আলীও জিতেছেন বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে। এটা তার তৃতীয় জয়। সিলেটে জন্ম নেয়া রুশনারা ২০১০ সালে প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।