দুরারোগ্য অর্থোসার্কোমায় আক্রান্ত মেয়ে মেধাবী ছাত্রী পাপড়ির জীবন বাঁচাতে দেশের চিকিৎসকদের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন এক সাংবাদিক বাবা। টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার অ্যাকাডেমি অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ৯ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী নাফিয়া নুফরাত পাপড়ি।
বেশ কিছুদিন আগে ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ব্যথা অনুভব করলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের সহকারী প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, ডা. মশিউর রহমান মুন্সির নিকট চিকিৎসা নেন। এক্স রে, সিটি স্ক্যান, সিটি গাইডেড এফএনএসি, রক্ত পরীক্ষাসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অর্থোসার্কোমা হয়েছে বলে জানান ডা. মশিউর রহমান মুন্সি।
পরে ঢাকা গ্রিন লাইফ হাসপাতালের অর্থোপ্রধান প্রফেসর আর আর কৌরীর নিকট প্রেরণ করা হলে তিনি পাপড়িকে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু পাসপোর্ট, ভিসা জটিলতায় প্রায় এক মাস বিনা চিকিৎসায় পাপড়ির অবস্থা শঙ্কটাপন্ন।
পাপড়ি এ বছর ৮ম শ্রেণিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। প্রায় ৯‘শ ছাত্র -ছাত্রীর মধ্যে পাপড়ির রোল ৮। মেয়ের জটিল রোগের কারণে সন্তানের স্নেহে অন্ধ তার সাংবাদিক বাবা গাজী খলিলুর রহমান ও মা দিশেহারা।
মেয়েকে বাঁচাতে বাবা-মা পাগলপ্রায় হয়ে বলেন, দেশে এত বড় বড় হাসপাতাল থাকতে তার মেয়ের চিকিৎসা সম্ভব নয় কেন? তিনি দেশের চিকিৎসকদের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার মেয়ের সুচিকিৎসার জন্য।
যোগাযোগ: সাংবাদিক গাজী খলিলুর রহমান। মোবাইল নম্বর ০১৯৪৫৪২৪২২৭, ০১৮১৯১১৫৮১৬।