ইরানের পার্লামেন্ট ও দেশটির বিপ্লবী প্রতিষ্ঠাতা রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিস্থলে আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুক হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বুধবার প্রায় একযোগে দেশটির অত্যন্ত স্পর্শকাতর এ দুই জায়গায় আইএসের হামলায় প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ৭ জনের।
আইএস নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ ইরানের পার্লামেন্ট ও দেশটির বিপ্লবী প্রতিষ্ঠাতা রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিস্থলে আইএসের হামলার দায় স্বীকারের খবর দিয়েছে।
দেশটির আধা-সরকারি সংবাদসংস্থা আইএসএনএ বলছে, রাইফেল ও পিস্তল নিয়ে চার বন্দুকধারী তেহরানের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালিয়েছে। ভবনের চতুর্থ তলায় এক হামলাকারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছে। হামলায় তিনজনের নিহতের তথ্য জানিয়েছে আইএসএনএ।
আমাক বলছে, ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধারা খোমেনির সমাধি ও ইরানের পার্লামেন্টে হামলায় অংশ নিয়েছে। আইএসের অপর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আমাক বলছে, খোমেনির সমাধিস্থলে হামলা চালিয়েছে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে একযোগে তেহরানের পৃথক দুই স্পর্শকাতর জায়গায় এমন এক সময় হামলা হলো যখন আইএসকে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন ৮ মুসলিম দেশ। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে কাতারের এই একঘরে হয়ে পড়ার পেছনে ইরানের প্রতি দোহার সমর্থনের বিষয়টিও কাজ করছে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।
এর আগে গত মাসে সৌদি আরবে এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে তেহরানবিরোধী অবস্থান নিতে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র : রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।