গাণিতিক হিসেবে সেমিফাইনালে যাওয়ার একটি সুযোগ আছে বাংলাদেশের।ভাগ্য আরও একবার সহায়তা করল বাংলাদেশকে।
এজন্য আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের পরাজয়টা জরুরি ছিল। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। ৮৭ রানে উইলিয়ামসন বাহিনীকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ইংলিশরা। স্বাগতিকদের ৩১০ রানের জবাবে ৪৪.৩ ওভারে ২২৩ রানেই অলআউট হলো নিউজিল্যান্ড।
৩১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানেই লুক রঞ্চিকে হারায় কিউইরা। জ্যাক বল তাকে বোল্ড করে দেন। এরপর ৬২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন মার্টিন গাপটিল এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। গাপটিল ২৭ রান করে বেন স্টোকসের বলে রুটের তালুবন্দী হন। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়েন কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেইলর। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচ বের করে নেবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ১৩২ বলে ৮৭ রান করে মার্ক উডের বলে উইলিয়ামসন আউট হওয়ার সাথে সাথেই যেন সেই আলোর রেখা মিলিয়ে যায়।
চার নম্বরে নামা অভিজ্ঞ রস টেইলরও বেশিদূর যেতে পারেননি। তিনি ৯৫ বলে ৩৯ রান করে আউট হয়ে যান। ভেঙে পড়ে কিউই প্রতিরোধ। নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। বাকী ব্যাটসম্যানরা কেউ ২০ এর ঘরে পৌঁছতে পারেননি। ৪ উইকেট নিয়ে কিউইদের ধসিয়ে দেন লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জ্যাক বল এবং আদিল রশিদ। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড এবং অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। উইলিয়ামসন আর রঞ্চির গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন জ্যাক বল।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ৩৭ রানেই ধাক্কা খেয়েছিল স্বাগতিকরা। বিপজ্জনক জেসন রয়কে (১৩) বোল্ড করে দেন মিলান। অপর ওপেনার অ্যালেক্স হেলসকেও (৫৬) তিনি বোল্ড করেন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়ার পর। রুট বেচারার দুর্ভাগ্য। দারুণ ব্যাটিং করে ৬৫ বলে ৬৪ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু কোরি অ্যান্ডারসনের বলে তার স্টাম্প উড়ে গেল। তিনিই ইংলিশদের সর্বোচ্চ স্কোরার।
৬ নম্বরে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জস বাটলার। তার ৪৮ বলের মারকুটে ইনিংসটি ২ চার এবং ২ ছক্কায় সাজানো। সিঙ্গেলস-ডাবলস নেওয়ায় তার দক্ষতা প্রশংসা করার মত। দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকসও। তিনি ৫৩ বলে ৪৮ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়েছেন। তবে শেষের দিকে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ৩ বল বাকী থাকতেই অলআউট হয়ে যায় তারা। তবে কিউইদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিলান এবং অ্যান্ডারসন। এছাড়া টিম সাউদি ২টি এবং বোল্ট-স্যান্টনার ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।