রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা গতি ফিরে এসেছে। সদ্য সমাপ্ত মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এপ্রিল মাসে এর পরিমাণ ছিল ১০৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার। এ হিসাবে এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে প্রায় ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ হিসাবে মার্চের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ মুহূ্র্তে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়টি অর্থনীতির জন্য স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পাশাপাশি রেমিটেন্স প্রবাহেও ভাটা দেখা দেওয়ায় লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতির পরিমাণ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মে মাসের রেমিট্যান্সের তথ্যে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যভুক্ত দেশগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৩ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এরমধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছে ২২ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। এরপরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২০ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এছাড়া কুয়েত থেকে ১০ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার, ওমান থেকে ৯ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার ডলার এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যভুক্ত দেশ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রোজা কারণে বাড়তি খরচ যোগান দিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের জন্য বাড়তি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন। এ কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা ফিরে এসেছে। জুন মাসের শেষের দিকে রোজার ঈদ পালিত হবে। ঈদকে কেন্দ্র করেও প্রবাসী বাংলাদেশীরা অতিরিক্ত অর্থ পাঠাবেন বিধায় জুন মাসেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছিল ১০০ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ৯৪ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। মার্চ মাসে তার পরিমাণ ছিল ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে অবৈধভাবে মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা হুন্ডির মাধ্যমেও রেমিট্যান্স আসছে।
তবে যাতে প্রবাসীরা বৈধভাবে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সে জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর পদ্ধতি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।