রির্পোট: মামুন হোসেন.
নাগরিক সাংবাদিক, বিপিপি, বরিশাল.
আমাদের বরিশালে অনেক লোকাল পত্রিকা আছে । এখন পর্যন্ত শুনলাম না যে সাধারন মানুষের জন্য তারা কিছু করছে। যাই করছে সব কিছু বিনিময়ে করছে। কিছুদিন আগে বরিশাল কশাই মসজিদের সামনে দীর্ঘদিন ড্রানের সমস্যার কারনে রাস্তাটা অর্ধেক বন্ধ হয়ে ছিল । কেউ একজন ছবি তুলে পোষ্ট দিলো ডিসি স্যারের চোখে পড়লো স্যার ব্যাবস্থ নিতে বিসিসি কে অনুরোধ জানালো । এখন আমার প্রশ্ন হলো
১। যে ছবি তুললো তার কি প্রয়োজন ছিলো ছবি তোলার?
২। ডিসি স্যারের কি প্রয়োজন ছিল বিসিসি কে জানানোর?
৩। বিসিসির কি প্রয়োজন ছিলো ব্যবস্থা নেওয়ার?
যারা পেশাদার সংবাদ কর্মী তারা কি ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে না? তারা কি বিষয়টি নিয়ে কোন নিউজ করতে পারতো না? নাকি এটা কোন সমস্যা না? ভাই, যারা পেশাদার সাংবাদিক
১। আপনারা কি মনে করেন সিটিজেন জানালিষ্ট আপনাদের সংবাদ সংগ্রহে বা প্রকাশে বাধা হয়ে দারিয়েছে?
২। তারা কি আপনাদের আগে সংবাদ জনসাধারনের কাছে তুলে ধরছে?
৩। তারা কি কোন মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে হয়রানি করছে?
৪। তারা কি নিজেদের সাংবাদিক কর্মী বলে প্রশাসনের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে?
৫। তারা কি কোন রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করছে?
৬। তারা কি কোন সাধারন মানুষের কাছ থেকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিচ্ছে?
ভাই, যারা পেশাদার সাংবাদিক তারা সব সময় পেশাদারী ভুমিকা পালন করে, আর করবে। সাংবাদিকরা নিউজ করলে তা পত্রিকায় মিডিয়া দেখা যায় । আর সিটিজেন রা কিছু পোষ্ট করলে শুধু গ্রুপে দেখা যায় । সাংবাদিকরা নিউজ করলে সাধারন মানুষ থেকে সব মহল জানতে পারে ও দেখতে পারে। সিটিজেনরা কোন সমস্যা নিয়ে পোষ্ট করলে গ্রুপের সদস্যারা জানতে পারে। তাই আপনারা সিটিজেনদের প্রতিপক্ষ না ভেবে আপনাদের সংবাদ সংগ্রহের সহযোগী ভাবতে পারেন। সিটিজেনদের পোষ্ট করা সমস্যাটি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন। তাতে আপনাদের প্রতি সম্মানটা সাধারন মানুষের আরো বেড়ে যাবে। ভাই আপনাদের একটি পরিচয়পত্র দিয়ে আমরা কিছুই করতে পারবো না। কিন্তু সিটিজেনদের কাছে থাকা পরিচয়পত্র দিয়ে আপনারা অনেক কিছু করতে পারবেন। জানিনা আপনাদের পরিচয়পত্রে কোন অভিযোগ নাম্বার দেওয়া আছে কিনা । কিন্তু সিটিজেন দের পরিচয়পত্রে একটি অভিযোগ নম্বর দেওয়া আছে। কোন সিটিজেনদের আচরনগত কোন সমস্যা আপনাদের পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে অভিযোগ করার সুযোগ আছে। ভাই, যারা ভালো কিছু করে তাদের জন্য ধন্যবাদ দিতে না পারলে একটি হাসি তো দিতে পারেন। এভাবে কথা বললে সবাই আপনাদের আপনজন ভাববে কিভাবে। আপনাদের পত্রিকার ও মিডিয়ার পরিচয়পত্র দিয়ে সবাই কি সংবাদ সংগ্রহ করে আপনাদের কি তাই মনে হয়? ভাই, প্রধানমন্ত্রীর এমন কোন দরকার ছিলোনা যে বরগুনার ছোট ছেলেটির চিঠির উত্তর দেওয়ার। আর যখন উত্তর দিলো তখন ঘটা করে সংবাদটা আপনারাই প্রথম প্রকাশ করেন । তখন সবাই বুঝলো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কথা প্রধানমন্ত্রী শোনার চেষ্টা করেন। আপনাদের মতামতের সাথে সবার মতের মিল হবে এমন তো না। তার জন্য ডিসি স্যারকে উদ্দ্যেশ করে বলাটা কি শোভনীয়? সবার কাছে অনুরোধ এই সিটিজেদের নিয়ে কোন কথা থাকলে সবাই একত্র হয়ে আলোচনা করি। এভাবে পেইজে লেখালেখি করলে গ্রুপের সদস্যদের সমস্যা ও সম্ভাবনা লেখা থেকে পিছিয়ে পড়বে। সিটিজেনরা আপনাদের প্রতিপক্ষ না আপনাদের সহযোগী।