শনিবার , ৩ জুন ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

প্রস্তাবিত বাজেট ৭০ শতাংশ ব্যবসাবান্ধব : এফবিসিসিআই

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
জুন ৩, ২০১৭ ১১:৩৭ অপরাহ্ণ

কর কাঠামো নিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপত্তি থাকলেও সামগ্রিকভাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৭০ শতাংশ ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআিই।

এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বাজেটের ৩০ শতাংশ জায়গাতে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। আমরা সেসব বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে, এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো। বাজেটে পাশের জন্য আরও ২৬-২৭ দিন সময় রয়েছে। আমরা প্রস্তাবিত বাজেটের আরও ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করছি। চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আরও আলোচনা করে আমাদের যে সমস্ত প্রস্তাব বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি সেগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য আমরা সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করবো। আশা করছি সরকারের নিকট থেকে ইতিবাচক সাড়া পাব।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর শনিবার (২ জুন) রাজধানীর ফেডারেশন ভবনের মিলনায়তনে অনিুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি এসব কথা বলেন।

বাজেট বাস্তবায়নের শুরুতেই সুষ্ঠু মনিটরিং জোরদার করা জরুরী উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে অর্থায়ন ও অর্থ ব্যয় সঠিকভাবে করতে না পারার কারণে প্রতিবছরই বাজেট সংশোধন করতে হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বর্তমান বাজেটের তুলনায় ১৭.৫২ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২৬.২০ শতাংশ বেশি। দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করা গেলে এতো বড় বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রস্তাবিত বাজেটে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হয়েছে।এ ঘাটতি পূরণে সরকারের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংক খাতের নির্ভরশীলতা উৎপাদনশীল খাতে ঋণের প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে।

রাজস্ব আদায়ের ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এটি অর্জন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হবে উল্লেখ করে শফিউল ইসলাম বলেন, জাতীয় অর্থনীতির দুটি মূল উৎস রফতানি ও র‌্যামিটেন্সের প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী। এছাড়া সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষি ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায়ের এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এ জন্য রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে অর্জনযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রস্তাবিত বাজেটে এডিপিসহ যে সব মেগা প্রকল্প রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুনগতমান বাজায় রেখে যথাসময়ে সম্পন্ন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এ জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেয়ার পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

নতুন ভ্যাট আইনে ভ্যাটমুক্ত বার্ষিক টার্নওভারের সীমা ৩৬ লাখ টাকা রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ সীমা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া টার্নওভার করের সীমা দেড়কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা এবং টার্নওভার ট্যাক্স ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

ব্যাংক লেনদেনের উপর আবগারী কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, আবগারি করের কারণে ব্যাংকে আমানত রাখার ক্ষেত্রে আমানতকারীরা নিরুৎসাহিত হবে। এরফলে অর্থ ব্যাঙক চ্যানেলে না যেয়ে ইনফরমাল চ্যানেলে চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে যা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়।

রফতানি খাতে বিশেষ করে তৈরি পোষাক, চামড়া, হিমায়িত খাদ্যে উৎস কর ০.৫০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানানো হয় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্পখাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে-এমন আশংকা প্রকাশ করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

এছাড়া ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সোয়া ৩ লাখ টাকা, করপোরেট কর হার ২.৫ শতাংশ কমানো, রিয়েল এস্টেট খাতের জন্য হ্রাসকৃত হারে মুসক হার নির্ধারণসহ আরও বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ্ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, প্লাস্টিক রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ঢাকা চেম্বার সভাপিত আবুল কাসেম খানসহ এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ।

 

(Visited ২ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি