নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অস্ত্র অভিযানে মিলেছে অত্যাধুনিক রাইফেল, রকেট লঞ্চার, গ্রেনেড। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া অভিযানে শুক্রবার ভোর থেকে মিলতে শুরু করে একের পর এক অস্ত্র। শুক্রবার ভোর ৬টা হতে বেলা ১১টা পর্যন্ত টানা অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৬২টি এসএমজি রাইফেল, দুরবিনসহ দুটি রকেট লঞ্চার, ৪৪টি ম্যাগজিন, ৫টি পিস্তল, পিস্তলের ম্যাগজিন, দুটি ওয়াকিটকি, ৪২ হ্যান্ডগ্রেনেড ও বিপুলসংখ্যক গুলি উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
সেখানে থানা নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান ও ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার বাগলা এলাকার শরীফ মিয়ার বাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার থানা পুলিশ একটি এলএমজি অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই সময়ে পলাতক ছিলেন শরীফ। পরে পুলিশ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে। বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে শরীফ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের তথ্যমতে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপশহরের ৫নং সেক্টরে প্রথমে একটি জমিতে অভিযান চালিয়ে ভেকু দিয়ে মাটি খুঁড়ে দুটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়। পরে পাশের একটি লেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দিয়ে তল্লাশির সময়ে মিলতে থাকে একের পর এক অস্ত্র। পলিথিন দিয়ে মোড়ানো এসব প্যাকেট খুলে উদ্ধার করা হয় অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো।
পুলিশের এ দুই কর্মকর্তা আরো জানান, আমাদের আরো অভিযান চলবে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে আরো অস্ত্র থাকতে পারে।
এদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল ইসলাম বলেছেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল ও অশান্ত করার জন্য অস্ত্র মজুদ করেছিল। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।
শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল ৫নং সেক্টর এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধারের পর গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন পুলিশের এ প্রধান।
তিনি বলেন, দেশে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এসব অস্ত্র মজুদ রাখা হয়। বড় ধরনের কোনো হামলার পরিকল্পনা ছিল গোষ্ঠীটির। উদ্দেশ্য ছিল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তারা মূলত দেশের উন্নয়ন চায় না। তবে আমরাও সতর্ক আছি।
