অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়ে বলেন, ‘মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাড এর স্থানীয় সংযোজন ও উৎপাদনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ খাতের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ আমদানিতে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করছি।’ অর্থাৎ সম্পূর্ণ মুঠোফোনসেট আমদানিতে খরচ বাড়বে, আর দেশে যন্ত্রাংশ এনে বা উৎপাদন করলে খরচ কমবে। দেশে এখন পর্যন্ত কোনো মুঠোফোনসেট সংযোজন বা উৎপাদন কারখানা গড়ে ওঠেনি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) মহাসচিব রেজওয়ানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত স্মার্টফোন বৃদ্ধির প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে। এই সিদ্ধান্ত সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নকে ব্যাহত করবে। সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করতে সরকারকে অনুরোধ করছি।’
বিএমপিআইএ-এর হিসাবে ২০১৬ সালে দেশে বৈধপথে তিন কোটির বেশি মুঠোফোনসেট আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে স্মার্টফোনের সংখ্যা ছিল ৮২ লাখ, বাকিটা বেসিক বা ফিচার ফোন। আমদানি হওয়া মুঠোফোনসেটের বাজার মূল্য ছিল আট হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে স্মার্টফোনের বাজার মূল্য ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা।