আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট ৫০ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষায় এ বরাদ্দ চলতি বছরের তুলনায় এক হাজার ৪২২ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে ৪৯ হাজার ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতেই বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ। এ খাতে ৬৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ৫২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। যা ছিল মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫০ হাজার ২৯২ কোটি টাকা করা হয়।
মুহিত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাঁচটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আমাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করব। ’
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, ‘শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গুণগত উৎকর্ষতা সাধরণে ৫০৩টি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ইন্টারঅ্যাকটিভ শ্রেণিকক্ষ তৈরির পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান ও জাতীয়করণ করা বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নে ১৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাসহ উচ্চ শিক্ষার প্রসার এবং উৎকর্ষতা সাধনে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে ৫ বছর মেয়াদী সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে শিক্ষার মানোন্নয়ন সময় সাপেক্ষ বিষয়। ’