২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুসারে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে:
দেশি কম্পিউটার-ল্যাপটপ: স্থানীয় পর্যায়ে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, সেলুলার ফোন ও আইপ্যাডের সংযোজন এবং উৎপাদন উৎসাহিত করতে এ খাতের যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করায় এগুলোর দাম কমতে পারে।
দেশি রেফ্রিজারেটর: রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে এবং এ দুটি পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভ্যাট বা মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশি রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের দাম কমবে।
টিস্যু-টয়লেট পেপার: বিদেশি টয়লেট পেপার, টিস্যু পেপার, টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপার ও সমজাতীয় পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আরোপের প্রস্তাবে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
এয়ারকন্ডিশনারের যন্ত্রাংশ: বিদেশ থেকে এয়ারকন্ডিশনারের যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক হার ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাবে এগুলোর দাম কমবে।
এলপি গ্যাস সিলিন্ডার: লিকুইফাইড বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস প্রকল্প স্থাপনের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক ছাড় এবং এলপিজি সিলিন্ডার (৫ হাজার লিটারের নিচে) তৈরির কাঁচামালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাবে এটির দাম কমবে।
টিউব ও পাইপ: টিউব ও হোস পাইপ আমদানির ক্ষেত্রে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাবের ফলে এ পণ্যের দাম কমতে পারে।
সিরামিক পণ্য: বাথ টাব, সিঙ্ক, ওয়াশ বেসিন, ইউরিনালসহ সিরামিকের বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এসবের দাম কমতে পারে।
কেশ পরিচর্যার সামগ্রী: কেশ পরিচর্যার সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক হার ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাবে এগুলোর দাম কমতে পারে।
কৃষি যন্ত্রপাতি: কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহার্য কিছু উপকরণে শুল্ক রেয়াত দেওয়ার ফলে নাট-বল্টু ও গিয়ারসহ এসব যন্ত্রপাতির দাম কমতে পারে।
আঠা (গ্লু) : কাঠসহ অন্য তৈজসপত্র জোড়া দেয়ার কাজে ব্যবহৃত আঠার দাম কমবে। কারণ এর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাজেটে।
এছাড়া ফ্যারো সিলিকন, টেলকম পাউডার, সয়াবিন মিল, ৫ হাজার লিটারের নিচের এলডি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমবে।