দেশে যাতে খাদ্য ঘাটতি দেখা না দেয় সেজন্য বিদেশ থেকে চাল কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, হাওর অঞ্চলের চাল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিদেশ থেকে চাল আমদানির নির্দেশ দিয়েছি। চাল কেনার জন্য ইতোমধ্যে খাদ্যমন্ত্রী ভিয়েতনামে গেছেন। অন্য যেখানেই পাওয়া যায় সেখান থেকে অতিরিক্ত চাল কিনবো। একইসঙ্গে ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা নেবো। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাবারের অভাব হবে না বলেও প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মাহবুব-উল-আলম হানিফের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে আমি অস্ট্রিয়ায় বসেই আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। তাছাড়া ঝড়টি আঘাত হানার সময় সমুদ্রে ভাটা থাকায় যতটা ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলাম তা হয়নি। তবে বেশকিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। দল থেকে কয়েকটি টিম করে দিয়েছি। তারা ওইসব এলাকায় যাবে সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি সমস্যা জানার চেষ্টা করবে। যাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে নিশ্চয়ই সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হবে। খাদ্যের অভাব তাদের হবে না। সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।’
আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে আরও গতিশীল হওয়ার নির্দেশনা দেন।
নদী ভাঙন রোধ, হাওর ও উপকূলে বাঁধ নির্মাণ বিষয়ক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নদী ভাঙন রোধের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। কাজ শেষের আগে বর্ষা চলে এলে আবার নদী আবার ভাঙনের মুখোমুখি পড়বে। নদী ভাঙন রোধ ও বাঁধ নির্মাণে আরও উদ্যোগী হতে হবে। মন্ত্রণালয় যদি ঢিলে তালে চলে তাহলে কাজ হবে না।’
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার প্রশ্নোত্তরের প্রথম আধঘণ্টা প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ছিল।