তিন মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি রোধে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার (৩০ মে) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এই স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ৫ জুন এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে আগামী ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবীরা।
আদালতে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
এর আগে চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বিতীয় দফায় গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন আদালত।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই স্থগিতাদেশ দেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পক্ষ থেকে দুই ধাপে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে ১ মার্চ থেকে প্রথম দফা এবং ১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফায় মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
মূল্যবৃদ্ধির ফলে ১ মার্চ থেকে আবাসিক খাতে দুই চুলার জন্য ৮০০ এবং এক চুলার জন্য ৭৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দ্বিতীয় ধাপে ১ জুন থেকে দুই চুলার জন্য ৯৫০ এবং এক চুলার জন্য ৯০০ টাকা টাকা মূল্য ধরা হয়।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর পক্ষে প্রকৌশলী মুবাশ্বির হোসেন ২৭ ফেব্রুয়ারি রিটটি দায়ের করেন। আবেদনে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়।
আবেদনের বিষয়ে আইনজীবী সাইফুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন ২০০৪ অনুযায়ী বছরে একবারের বেশি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ নেই। অথচ এই দফায় একবারেই দুই ধাপে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া গণশুনানির মাধ্যমে ৯০ দিন পর গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কথা। সেটিও করা হয়নি। তাই এতে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে।