ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পরই পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলতে গেলে খুবই কম। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও অন্যান্য ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছেন। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব আমরা শিগগিরই পেয়ে যাব। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। বরিশাল ও খুলনা বিভাগে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।’
তবে ‘বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই আমরা দিতে পারছি না’ বলেন তিনি।
পুনর্বাসনের জন্য কি করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আজ থেকে আমরা যে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ পাব সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব। যেখানে বাড়িঘর দরকার হবে আমরা বাড়িঘর প্রস্তুত করে দেব। আমরা কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলব। কৃষি পুনর্বাসন যা দরকার তা তারা দেবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি পোষাতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করব। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে।’
‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভায়ও আমরা বলেছি, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পরপরই আমরা পুনর্বাসনের চিন্তা করব।’
‘মোরা’র কারণে ১৪ জেলায় এক হাজার ৪০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘জেলাগুলো হলো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা ও বরগুনা। তাদের হাতে আগে এক হাজার ২০০ টন চাল আগে ছিল।’
এ জেলাগুলোতে টাকা জমা আছে এক কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। তারা কাজ করছে। টাকার কোন অসুবিধা নেই বলেও জানান গোলাম মোস্তফা।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একটি শিশু মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চকরিয়ায় গাছচাপায় একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। এমন দু’একটি বিষয় হতেই পারে।’
কি পরিমাণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল- জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘৪ লাখ ৬৮ হাজার লোককে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়েছিলাম। আমাদের ৩ হাজার ৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া অনেকে মসজিদ, মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অনেকে আছে। অধিকাংশই চলে গেছে।’