চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম বা শেষ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উক্ষেপণ করা হবে। পরের বছরের (২০১৮) জুনের মধ্যে এটি বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
ফ্রান্সে স্যাটেলাইটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে দেশে ফিরে সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তবে আবহাওয়াজনিত কারণে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে।’ উৎক্ষেপণের এক সপ্তাহ আগে থেকে কাউন্টডাউন করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এই স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর। এরপর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২, ৩-এ যাবে বাংলাদেশ।
তারানা হালিম বলেন, ‘আগামী ৯ নভেম্বর স্যাটেলাইটের ডেলিভারি দেওয়া হবে। এর আগে কিছু পরীক্ষা করা হবে। মহাকাশে উৎক্ষেপণের সময় যে শব্দ হয় সে সময় কম্পন সহনীয়তা পরীক্ষা করা হবে। পরবর্তীতে ভেক্যুয়াম রুমে নিয়ে গিয়ে শব্দহীনতার পরীক্ষা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইনিশিয়াল পারফরমেন্স টেস্ট, ফরমাল ভ্যাকুয়াম টেস্ট, ফাইনাল পারফরমেন্স টেস্ট, ফাইনাল প্রিপারেশন টেস্ট করার পরে শিফমেন্ট হবে। সোলার রেট ও অ্যান্টেনা আলাদাভাবে তৈরি করে ফ্যাক্টরির মধ্যে রাখা হয়েছে।’
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি গঠনের জন্য ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে গেছে। এই কোম্পানি স্যাটেলাইটের কাজগুলো পরিচালনা করবে। জুলাই মাসে ফ্রান্সের কোম্পানি সভা করে আবহাওয়াসহ আনুষঙ্গিক বিষয় দেখে উৎক্ষেপণের জন্য সময় দেবে।’
তারানা হালিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ফ্লোরিডাতে না গিয়ে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মানুষের সাথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান। গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনের প্রিলিমিনারি হ্যান্ডওভার আগস্টে হবে। বেতবুনিয়াতে দ্বিতীয় গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হয়েছে। বেতবুনিয়ার স্টেশন এক দুই মাস দেরি হলেও সমস্যা নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্যাটেলাইট নিয়ে বাংলাদেশে আটজন তরুণ কাজ করছেন। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেবে থ্যালাস। যদি কোনো কারণে কোনো সমস্যা দেখা যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ফ্রি সার্ভিস দেবে থ্যালাস।’
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে জানিয়ে তারানা হলিম বলেন, ‘এটি একটি বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট এবং আলাদাভাবে স্পট থেকে তৈরি হওয়া নিজস্ব স্যাটেলাইট। বাংলাদেশকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য আলাদাভাবে ২০টি ট্রান্সপন্ডার রাখা হয়েছে।’